• চিকিৎসকদের সঙ্গে মেগা বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, একনজরে দেখে নিন কী বললেন মমতা
    প্রতিদিন | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর পরবর্তী আবহে চিকিৎসকদের সঙ্গে মেগা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে সোমবারের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন তিনি। একনজরে দেখে নিন ঠিক কী কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    ১. আর জি করের নির্যাতিতার পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আমরা অপরাজিতা বিল এনেছি। এখনও পাশ হয়নি।২. ভাইয়ের দায়িত্ব দিচ্ছি, এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে।৩. চিকিৎসকদের কোনও রাজনৈতিক রং নেই। চিকিৎসা মানে সেবা। চিকিৎসক ও তাঁদের পরিবারকে কুর্নিশ জানাই।৪. বাম আমলে স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিভাগে উন্নয়ন কখনও একজন রাজ্যমন্ত্রী করতে পারেন না। সব কিছু নজর রাখা। ফেক ভিডিও, ফেক মেডিসিন বেরিয়েছে। একটা ভালো কাজকে খারাপ করতে এক সেকেন্ড লাগে। অপপ্রচার এত তাড়াতাড়ি হয়। আগে সোশাল নেটওয়ার্ক ছিল না। কাজেই সেটা সামলানো।৫. আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচার করা হয়। আমরা হাসপাতালগুলিকে রং করেছি। প্রবেশপথ বড় করা হয়েছে।৬. আমাদের রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। টেলি মেডিসিনে গড়ে ৭৫ হাজার রোগী চিকিৎসা পান।৭. স্বাস্থ্যসাথীতে ৯ কোটি মানুষ পরিষেবা পান। ৩৮টি মেডিক্যাল কলেজ রাজ্যে। ১৪টি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব। ৪০ হাজার বেড বেড়েছে।৮. কোভিডকালে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল সাহায্য করেছে। কোভিডের প্রতিটি দিন আমি রাস্তায় বেরতাম। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাইক নিয়ে বলতাম বেরবেন না। যাঁর বাড়িতে কেউ নেই পুলিশ গিয়ে খাবার দিয়ে আসত। অনেক চিকিৎসক, পুলিশকর্মী, ভাই, অফিসে ৪০ বছর কাজ করতেন মারা গিয়েছেন। কোভিড সব পরিবারকে আক্রান্ত করেছে। দুঃখ ভুলতে পারি না।৯. ১৪ হাজার সরকারি ডাক্তার বাড়িয়েছে। ২৫ হাজারের বেশি প্যারামেডিক্যাল স্টাফ বাড়িয়েছি। নার্সিং সিট বেড়েছে ২৬ হাজার। নিয়োগ থমকে আসছে কারণ, ওবিসি রিজার্ভেশনের জন্য মামলা হয়েছে। কিছু দুষ্টু লোক আছে যারা কাজের কাজ করে না। একটি মামলা ঠকঠকিয়ে ঠুকে দিল। চিকিৎসা থেকে শিক্ষা নিয়োগ আটকে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি কেসটা ক্লিয়ার করার।১০. আপনারা এত ভালো কাজ করেন বলেই হার্ট অপারেশন, যে যতই বিদেশ দেখাক, আমি মনে করি বাংলার যা জ্ঞান, মেধা, প্রতিভা, পরিকাঠামো আছে তা আর কারও নেই।১১. বেতন বাড়ানো হয়েছে। ডাক্তারদের জন্য হস্টেল। লেডি ডাক্তারদের জন্য হস্টেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাইমারিতে যাঁরা রেসিডেন্সিয়াল ডাক্তার, বিএমওএইচরা থাকেন তাঁদের হস্টেল ঠিক করতে হবে।১২. ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাই আমরা। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে টাকা। জিএসটি নিচ্ছে। যা ভাগ দেওয়ার কথা দেয় না। তা সত্ত্বেও আমরা চেষ্টা করি।১৩. মর্যাদা কারও ক্ষুন্ন হবে না। আমরা চাই গর্বের বাংলা গর্বের বিশ্ববাংলায় পরিণত হোক।১৪. সব দাবি মানতে না পারলেও, সিমপ্যাথি রয়েছে আমার।১৫. নিয়োগ যেহেতু করাতে পারছি না। তাই অনেকে বলেছিলেন এক্স সেনাদের নিতে। আগে পুলিশ দিনে ৩-৪ বার টহল দিত। পুলিশকে সাইবার ক্রাইম রুখতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ট্রেনিং দিয়ে হোমগার্ডে পরিণত করা যেতে পারে।১৬. আমি পছন্দ করি ট্রাফিক জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকা। আমি কোন হরিদাস যে সিগন্যালে দাঁড়াতে পারব না। আমি মনে করি গাড়ি চললে মানুষের গতি এগিয়ে যায়। একজন ভিআইপি যাবে বলে মানুষকে আটকে দেওয়া আমি পছন্দ করি না। কোনও ভিআইপির জন্য গাড়ি বন্ধ থাকবে না। দুটি ক্রসিংয়ে গাড়ি ঢুকে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তাই ওয়াচ টাওয়ারের ব্যবস্থা করুন। দরকার হলে এমপি, এমএলএ-রা টাকা দেবে। সিগন্যালে গানের জন্য আমি অনেক কাজ এমপি ল্যাডের টাকা থেকে করেছিলাম।১৭. হাসপাতালগুলিতে গান এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার জন্য ২ কোটি টাকা করে দিতে বলব নারায়ণকে।১৮. ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট ডক্টরেট ট্রেনিদের জন্য ভাতা ১০ হাজার টাকা বাড়ানো হল।১৯. মিনিমাম ৮ ঘণ্টা সরকারি পরিষেবা দিন। তারপর প্রাইভেটে ডাক্তারি পরিষেবা দিন। সরকারি পরিষেবা দেওয়ার সময় প্লিজ যাবেন না। অপারেশন করার জন্য বা মরণাপন্ন রোগীকে দেখতে হলে সরকারি হাসপাতালে ডেকে পাঠান। পরিকাঠামো রয়েছে সরকারি হাসপাতালে।২০.নিশ্চয়ই নেগলিজেন্স ছিল। তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলব না। হয়তো তারা এখনও পাকাপোক্ত হয়নি। তাদের হাতে সবটা ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। তাঁদের সাসপেনশনটা তুলে দেওয়া হল। ২১. সর্বস্তরের রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বেতন ১৫ হাজার বাড়ানো হল।২২. বছরে একটা করে এরকম বৈঠক যাতে করতে পারি সেই আশা রাখি। তাতে কমিউনিকেশন বাড়বে। আপনার বড় হোন। আরও সুন্দর হোন। আপনাদের শুধু অভিনন্দন দিয়ে ছোট করব না। দয়া করে বিদেশে চলে যাবেন না। লোহার শিকল, লোহার বেড়ি বড় অসম্মানজনক। তার চেয়ে বাংলায় থাকুন। ভালো ভবিষ্যৎ কামনা করি।২৩. আপনারা চিকিৎসা করেন। অনেক দায়িত্ব। আমি পাহারা দিই।২৪. আমার খুব খারাপ লেগেছিল যখন সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে একজন বলেছিলেন সরকারি হাসপাতালে তুলোও পাওয়া যায় না। আমি খুব ব্যথিত হয়েছিলাম।২৫. আমাদের পরিবারের একটা ছোট্ট ছেলেকে লজেন্স দিয়েছি। বলছে এক্সপায়ারি ডেটটা দেখে নাও তো। ভাবুন আজকের দিনেও বাচ্চারাও কত সাবধানী।
  • Link to this news (প্রতিদিন)