পুলিশ 'সব' জানিয়েছিল, সিবিআই কিছুই বলছে না, দাবি আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা'র
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে অনেকদিন ধরেই অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সোমবার শিয়ালদা আদালতে ধর্ষণ মামলার শুনানিতে ফের তাঁরা সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়াও, এই তদন্তে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে তুলনা টেনে আনেন নির্যাতিতার বাবা মা।
এদিন নির্যাতিতার বাবা-মা বিচারকের সামনে অভিযোগ করেন, সাত মাস ধরে তদন্ত করলেও সিবিআই তাঁদের কিছুই জানাচ্ছে না। ফলে সংস্থা কী তদন্ত করছে সে বিষয়ে কিছু জানতে পারছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে তাঁরা জানান, কলকাতা পুলিশ তাঁদের সব জানিয়েছিল। পাঁচদিন তদন্ত করেছিল। একদিন ডেকে সব জানিয়েছিল। এদিনই শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর মামলার তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, মামলার চার্জশিটে টালা থানার ওসি এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম থাকলেও পরে তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানতে পারেননি।
নির্যাতিতার বাবা-মা অভিযোগ করেন, এর আগে গত ১০ নভেম্বর সিবিআই তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিল। তবে আধিকারিকরা সমন পাঠিয়ে চলে এসেছিলেন। তদন্তের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকী বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও নির্যাতিতার বাবা-মায়ের প্রতি সহানুভূতির সুরেই বিচারপতি বলেন, যা হয়েছে আদালতের নিয়ম মেনেই হয়েছে। তাঁদের কোনওভাবেই হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দেন বিচারক।
এই শুনে আদালতের উপর নিজের আস্থার কথা জানান নির্যাতিতার বাবা মা। তাঁদের আর্জি, যে সংস্থায় তদন্ত করুক না কেন, তাঁদের যেন সবকিছুই জানানো হয়। আদালতে এদিন বিচারকের সামনে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে দেখা যায় নির্যাতিতার মাকে। এ প্রসঙ্গে বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আদালতে কীভাবে কথা বলতে হয়, তা তিনি জানেন না। শুধু জানতে চান কেন তাঁর মেয়ের সঙ্গে এরকম হল। বিচারক তাঁদের উদ্দেশ্যে জানান, কোনও অভিযোগ থাকলে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জানাতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। সেই রায়ের পর উচ্চ আদালত ও পরে শীর্ষ আদালতে যান নির্যাতিতার পরিবার। একইসঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে তদন্তের বিষয়ে অন্ধকারে রাখা হয়নি বলে দাবি করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, তদন্তের বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা-মাকে জানানো হয়েছে।