'জ্যামে দাঁড়াতে পছন্দ করি, আমি কোন হরিদাস যে....', কেন 'ফেড-আপ' হলেন মমতা?
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাস্তায় যানজট নিত্য ঘটনা। বিশেষ করে অফিস টাইমে বিভিন্ন রাস্তায় যানজটে থমকে যায় যানবাহন। এছাড়াও, ভিআইপিদের যাতায়াতের কারণেও যানজটের সমস্যা হয়। যার ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়াদের নিয়ে আয়োজিত বিশেষ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, একজন ভিআইপির যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আটকে রাখা তিনি মোটেই পছন্দ করেন না।শুধু তাই নয়, তিনি নিজে একজন মুখ্যমন্ত্রী হলেও চান না যে তাঁর জন্য সাধারণ গাড়ি চলাচল থমকে যাক।
এদিনের সভায় একাধিক ঘোষণার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যানজট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভিআইপিদের যাতায়াতের জন্য যাতে কোনওভাবেই সাধারণ যান চলাচল থমকে না যায়, তার জন্য বিশেষ বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি ট্রাফিক জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকতে পছন্দ করি। আমি কোনও হরিদাস নই যে সিগন্যালে দাঁড়াতে পারব না। আমি মনে করি গাড়ি চললে মানুষের গতি এগিয়ে যায়। একজন ভিআইপি যাবে বলে মানুষকে আটকে দেওয়া আমি পছন্দ করি না।’ সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ভিআইপির জন্য সাধারণ যানবাহন বন্ধ থাকবে না। তিনি বলেন, ‘ফেড-আপ’ হয়ে যান বলতে বলতে। তিনি মনে করেন যে গাড়ি চললে তবে মানুষের গতি এগিয়ে যায়। ভিআইপি যাবেন বলে অন্য গাড়ি আটকে দেওয়ার মানে হয় না।
এর পাশাপাশি দুর্ঘটনা রুখতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুটি ক্রসিংয়ে গাড়ি ঢুকে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ওয়াচ টাওয়ারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি। সাংসদ এবং বিধায়কদের এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে তাঁদের তহবিল ব্যবহার করতে বলেছেন। এ প্রসঙ্গে নিজের কথা উল্লেখ করে মমতা জানান, তিনি যখন সাংসদ ছিলেন তখন সিগন্যালিংয়ের জন্য অনেক কাজ করেছেন। এর জন্য নিজের সাংসদ তহবিল ব্যবহার করেছিলেন।
এর পাশাপাশি সোমবার কলকাতার আলিপুরে ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এই সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বেতন ১৫ হাজার টাকা করে বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ, স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক এবং পোস্ট ডক্টরেট শিক্ষানবিশ ডাক্তারদের বেতন ১০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করার কথা জানান। চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়েও বেশ কিছু নিয়মের কথা জানান তিনি। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ন্যূনতম আট ঘণ্টা ডিউটি করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।