'মা, দিদি, কাকিমাকে মেরেছে কাকা' বড় দাবি ট্যাংরার কিশোরের, বিষ-পায়েস নিয়ে আপডেট
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ট্যাংরাকাণ্ডে জীবিত রয়েছেন তিনজন। প্রসূন দে, প্রণয় দে ও প্রতীপ দে। দুই বধূ রোমি দে, সুদেষ্ণা দে ও কিশোরীর দেহ পড়েছিল বাড়িতে। অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা দিয়েছিল প্রণয় দের গাড়ি। সেই গাড়িতে ছিলেন প্রণয়, প্রসূন ও কিশোর প্রতীপ।
এবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক আধিকারিকের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, মা, কাকিমা আর দিদিকে খুন করেছে তার কাকা প্রসূন দে। পুলিশের কাছে একেবারে বিস্ফোরক দাবি করেছে ওই কিশোর। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর দে পরিবারের দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয়ের উপর নজর রাখছে পুলিশ। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেলেই তাদেরকে জেরা করবে পুলিশ। আসলে সেদিন ঠিক কী ঘটনা হয়েছিল সেই সংক্রান্ত একাধিক মিসিং লিঙ্ক রয়েছে। সেই লিঙ্কগুলিকে মেলানোর জন্য দরকার উভয়ের সঙ্গে কথা বলা। সেটাই করতে চাইছে পুলিশ।
এদিকে প্রণয়দের আত্মীয়দের দাবি, দুই ভাইয়ের মধ্য়ে মিল ছিল প্রবল। একসঙ্গে ব্যবসা চালাতেন। এক সঙ্গে বিদেশে বেড়াতে যেতেন। একসঙ্গেই চলাফেরা করতেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের ঠিক কী হয়েছিল সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে একসঙ্গেই যদি দুই ভাই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে কেন খুনের বেলা ভাইয়ের একলার ভূমিকা?
এদিকে সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, এক আধিকারিকের কথায়, আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত যা তথ্য় প্রমাণ রয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ছোট ভাই প্রসূনই তিনটি খুনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন। তবে তার দাদা প্রণয়ও খুনগুলির পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত।
এদিকে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, বাবা-কাকার পরিকল্পনা জানতে পেরেছিল কিশোরী। সেকারণে সে কিছুতেই পায়েস খেতে চায়নি। তবে তাকে মারধর করে পায়েস খাওয়ানো হয়। এমনটাই দাবি করেছে ওই কিশোর। সেকারণেই ওই কিশোরীর নাকের নীচে, ঠোঁটে ও শরীরে অন্যান্য জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আসলে গোটা ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে খুন করা হয়েছে তিনজনকে। এরপরই সন্দেহ ক্রমশ বাড়তে থাকে। কিন্তু কেন এই খুন? খালি কি আর্থিক অনটন? নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ ছিল? নাকি এর পেছনে আরও বড় কোনও কারণ রয়েছে? কেন বাড়ির তিন মহিলাকে একেবারে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার এই চক্রান্ত করা হল?