পানাগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে চন্দননগরের তরুণীর ভয়াবহ মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে মুখ খুলল পুলিশ। রবিবার রাতের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী। তিনি জানান, আপাতত শুধু দুই গাড়ির রেষারেষির অভিযোগই এসেছে পুলিশের কাছে। ইভটিজ়িং বা কটূক্তির কোনও অভিযোগই দায়ের হয়নি।
পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘একটা কুৎসা, বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পেয়েছি, তাতে ইভটিজ়িংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। একটি গাড়িকে ওভারটেক করার মাধ্যমে গোটা ঘটনার সূত্রপাত। সিসিটিভিতে আমরা যা দেখেছি, তাতে ভিক্টিমের গাড়ি অন্য একটি গাড়িকে চেজ় করছিল।’ যদিও মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ির চালক রাজদেব শর্মা সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, পিছন থেকে আসা একটি গাড়ি তাঁদের গাড়িটিকে ওভারটেক করতে গেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সাংবাদিক সম্মেলনে সিপি জানিয়েছেন, যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনিও মৃতের গাড়িতেই ছিলেন। সেই অভিযোগে কটূক্তির কোনও উল্লেখ নেই বলেই দাবি করেছেন পুলিশ কমিশনার। গাড়ির অন্য যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও কটূক্তির কথা জানা যায়নি, জানিয়েছেন সিপি।
তা হলে যে সাদা গাড়ির বিরুদ্ধে মৃতের সহযাত্রীদের অভিযোগ, সেই গাড়ির কাউকে কেন এখনও গ্রেপ্তার করা হল না? তাঁরা পালাতেই বা গেলেন কেন? সিপির দাবি, ওদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কেন গাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তা-ও তদন্ত করে দেখা হবে। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সোমবার সকাল থেকেই তদন্তে ব্যস্ত বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। একই সঙ্গে সিপির দাবি, যখন দুর্ঘটনাটি ঘটে, তখন সুতন্দ্রাদের গাড়ি অন্য গাড়িটির পিছনে ছিল। অর্থাৎ অভিযুক্তদের গাড়িটি ছিল সুতন্দ্রাদের গাড়ির সামনে।
যদিও সুতন্দ্রাদের গাড়ির চালক রাজদেব শর্মা এ দিন এই সময় অনলাইনকে জানিয়েছেন, ‘আচমকা দেখলাম, পিছন থেকে একটা সাদা গাড়ি এসে আমাদের ওভারটেক করে স্লো হয়ে গেল। ডান দিকের ইন্ডিকেটর জ্বালিয়ে কাচ নামিয়ে আমাকে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিল (পিছন থেকে আসা গাড়ির ড্রাইভার)। কিন্তু যে-ই ডান দিকের রাস্তা দিয়ে এগোতে গেলাম, আবার চেপে দিল। টাল সামলাতে গিয়ে গাড়ির ডান দিকটা ডিভাইডারে ঘষে গেল।’