• হাসিখুশি ‘মাম’ আর নেই, দোষীদের কড়া শাস্তি চাইছে সুতন্দ্রার গোটা পাড়া
    এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রাত পৌনে দশটা। গোটা পাড়া ভিড় জমিয়েছে চট্টোপাধ্যায় বাড়ির সামনে। পাড়ার প্রিয় মেয়ে ‘মাম’ আর নেই। মেনেই নিতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত সুতন্দ্রার মরদেহ বাড়িতে ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রতিবেশীরা। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চাইছেন সকলেই।

    ময়নাতদন্তের পর হুগলির চন্দননগরের নাড়ুয়ায় বাড়িতে নিয়ে আসা হয় সুতন্দ্রা’র মরদেহ। সুতন্দ্রাকে পাড়ার লোক ‘মাম’ বলেই ডাকতেন। এ দিন রাতে প্রতিবেশীরা চোখের জলের শেষ বিদায় জানান তাঁদের প্রিয় মাম’কে। বাড়িতে মিনিট পনেরো রাখার পরেই তাঁর মরদেহ চন্দননগরের বড়াইচণ্ডীতলা শ্মশান ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

    স্থানীয় বাসিন্দা হীরালাল সিংহ বলেন, ‘যাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে, তাঁরা বারবার বলছে বুদবুদ পেট্রল পাম্পে তেল ভরার পর ইভটিজ়াররা আমাদের ধাওয়া করে পানাগড় রাইস মিলের কাছে। দুষ্কৃতীদের গাড়ি সুতন্দ্রাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। তার পরেও কেন পুলিশ বলছে ইভটিজ়িং হয়নি, সেটাই বুঝতে পারছি না। গোটা রাজ্যের সমস্ত ঘটনাকেই এ ভাবে সাজানো বলা হচ্ছে।’

    সুতন্দ্রার আত্মীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ইভটিজ়িংয়ের যখন একটা অভিযোগ এসেছে, তখন গ্লাসগুলোরও ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকবে। সেই জায়গাটিকে কেন ঘিরে রাখা হয়নি?  মদের গ্লাস না অন্য কিছুর গ্লাস সেগুলো দেখা প্রয়োজন। একদিনের মধ্যে পুলিশের বক্তব্য এটা রেষারেষির জন্য হয়েছে, এটা কী ভাবে সম্ভব?’

    উল্লেখ্য, রবিবার রাতে একটি চারচাকা গাড়িতে করে নিজের ডান্স ট্রুপের বেশ কয়েকজন সঙ্গীদের সঙ্গে গয়া যাচ্ছিলেনন হুগলির চন্দননগরের বছর ২৬-এর তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ের বুদবুদের কাছে কিছু মদ্যপ যুবকের খপ্পরে পড়েন তাঁরা বলে অভিযোগ। একটি ছোট সাদা গাড়ি করে ধাওয়া করে বলেও অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ভুল রাস্তায় ঢুকে পড়েন সুতন্দ্রাদের গাড়ি চালক। পরে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনায় মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার। আহত হন তাঁর সহযাত্রীরাও।

  • Link to this news (এই সময়)