• গরু চরাতে গিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলেন, ঘটে গেল মারাত্মক বিপদ...
    আজকাল | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডুয়ার্সের চা বাগান এলাকায় চিতাবাঘের হামলা অব্যাহত। এবার গরু চড়াতে গিয়ে চিতাবাঘের হামলায় গুরুতর আহত হলেন বাগানেরই এক বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা বাগানে। গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে গত শনিবার দুপুরে বানারহাট ব্লকের কারবালা চা বাগানে চিতাবাঘের হামলায় আরেক মহিলাও গুরুতর আহত হয়েছিলেন। 

    জানা গিয়েছে বামনডাঙ্গা চা বাগানের মডেল ভিলেজের কাছে গরু চড়াতে গিয়েছিলেন বাগানের ১৮ নং লাইনের বাসিন্দা বাবুরাম ওরাওঁ। সেই সময় পাশের ঝোপ থেকে আচমকাই একটি চিতাবাঘ বেড়িয়ে এসে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাঁর পিঠে, কোমরে ও বুকে  থাবা বসিয়ে দেয়। আর্তনাদ শুনে মডেল ভিলেজের বাসিন্দারা ছুটে এসে চিৎকার চেচামেচি জুড়ে দিলে  চিতাবাঘটি ভয় পেয়ে বাবুরামকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয়রাই আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আঘাত গুরুতর থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দু'দিন আগেই পার্শ্ববর্তী বানারহাট ব্লকের কারবালা চা বাগানের ফ্যাক্টরি লাইনের বাসিন্দা কমলা তামাং-সহ কয়েকজন ঘাস কাটার জন্য ৫৮ নম্বর সেকশানে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই একটি চিতাবাঘ আচমকা পেছন থেকে তাঁকে আক্রমণ করে। চিতাবাঘের হামলায় কমলা তামাং এর ঘাড়ে, কাঁধে মারাত্মক জখম তৈরি হয়েছিল। তাকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

    বনদপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার নাগরাকাটায় চিতাবাঘের হামলায় আহত ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা বনদপ্তরের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটাতে সচেতনতামূলক প্রচার ও টহলদারি শুরু করা হয়েছে। চা বাগানের সুনসান জায়গায় নিচু হয়ে বসে ঘাস কাটা, লাকড়ি, শাকপাতা সংগ্রহের মতোও কাজ করার সময় চিতাবাঘের হামলার ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষকে গবাদি পশু ভেবে ভুল করে চিতাবাঘের হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া লাইন করে দাঁড়িয়ে চা পাতা তোলার সময়ও মহিলা চা শ্রমিকেরা চিতাবাঘের হামলার শিকার হচ্ছেন। তাই চা বাগানে নিচু হয়ে বসে কাজ না করা, বাগানে ঢোকার আগে জোরে শব্দ করা, যাতে লাজুক স্বভাবের চিতাবাঘ আগে থেকেই দূরে সরে যাওয়ার সময় পায়। প্রাতভ্রমণ বা সান্ধ্যকালীন ভ্রমনে একা না যাওয়ার মতোও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই চিতাবাঘের হামলায় আশঙ্কা অনেকটা কমানো যায় বলে বন দপ্তরের এক আধিকারিক জানান। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দাদের জানাতে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)