দেশে মোট পাঁচটি হাসপাতালে ২০০ জনের উপরে পরীক্ষামূলক এই প্রয়োগ করা হচ্ছে। রাজ্যে একমাত্র এসটিএম-কেই বাছাই করা হয়েছে। সেখানে এই পরীক্ষামূলক গবেষণার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর হয়েছেন চিকিৎসক শান্তনু মুন্সী। স্বেচ্ছাসেবকদের কাউকেই প্লাসিবো দেওয়া হবে না। রাজ্যে এই গবেষণার ফেসিলিটেটর স্নেহেন্দু কোনার জানান, দেশে ছয় সপ্তাহ থেকে ১৭ বছর এবং পঞ্চাশোর্ধ্বদের উপরে ‘প্রেভনার ১৩’ নামের এই প্রতিষেধকটি আগেই পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রতিষেধকের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় গবেষণার তথ্যের মিল রয়েছে। এর পরেই গত বছরের মে মাসে ‘ডিসিজিআই’ ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সিদের উপরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে।
হাতের ডেলটয়েড পেশির উপরে একটি ডোজ় (০.৫ মিলি) দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে সেখানে কোনও প্রতিক্রিয়া কিংবা অন্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ ওনথিভুক্ত করতে স্বেচ্ছাসেবকদের একটি ই-ডায়েরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষেধকটি নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে কোনও স্বেচ্ছাসেবকের তীব্র জ্বর আসছে কি না, সে দিকেও নজর রাখা হবে।