• সন্দেহ কাটাতেই এই বন্দোবস্ত! দিন তিনেক আগে থেকেই দে পরিবার...
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অয়ন ঘোষাল: শুধু ১৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ঘটনার দিন নয়, তার দিন তিনেক আগে থেকেই পায়েস খাচ্ছিলেন দে পরিবারের সদস্যরা। পুলিসের অনুমান ওই দিন যাতে দুই নাবালক নাবালিকার মনে হঠাৎ পায়েস খাওয়ার কারণ নিয়ে কোনও সন্দেহ না হয় তার জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারির আগে থেকেই পায়েস খাওয়া শুরু করা হয়। অরুচি কাটাতে পায়েসের সঙ্গে তুলসি পাতা মেশানো হয়। এমনকী নিম পাতাও মেশানো হয়।

    তাতে বিভিন্ন মাত্রার বিভিন্ন উপসর্গের কড়া ডোজ এর ওষুধের কটু গন্ধ কেটে যাওয়ার কথা চিন্তা করেই এই কাজ করা হয়। আগেই জানা গিয়েছে, দেনার দায়ে জর্জরিত দে পরিবার মেয়েকে মারতে একাধিক ওষুধ মিশিয়ে নিজেরা-ই তৈরি করেছিল 'বিষ'। রাংতা থেকে বের করে কোনও 'বিষাক্ত পদার্থ' পায়েসে মেশানো হয় ১৭ তারিখ। আসলে একাধিক প্রেশারের ওষুধ এবং হাই ডোজের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল পায়েসে। 

    প্রমাণ লোপাট করতে তারপর সেই রাংতাগুলো অন্যত্র ফেলে আসা হয়। সেই রাতেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে কোথাও একটা থেমে রাংতাগুলো ফেলা হয় বলে সূত্রের খবর। এখন ওষুধের কটু গন্ধে দুই নাবালক-নাবালিকা প্রথমে পায়েস খেতে চাইছিল না। তাই সেই পায়েসে ওষুধের গন্ধ ঢাকতে তারপর তুলসি পাতা মেশানো হয় বলে জানা গিয়েছে। দুই নাবালক নাবালিকা তখনও বুঝতে পারেনি যে ওষুধের গন্ধ বেরলেও, আসলে একাধিক চড়া ডোজের ওষুধের মিশ্রণে পায়েসের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে 'বিষ'।

    প্রসঙ্গত, তৃপ্তি করেই সেই পায়েস খায় দুই ভাইবোন। তারপর 'ঘুমিয়ে' পড়ে...। ঘুম ভাঙে যখন তখন পরদিন সকালে, তখন বোন চিরঘুমে। তারও হাতের শিরা কাটা! কিন্তু তখনও বেঁচে আছে সে। জানা গিয়েছে, তখন তাকে তাঁর বাবা মানে দে পরিবারের বড় ভাই প্রণয় দে বলেন,"চল তোকে ডাক্তারখানায় নিয়ে যাই।" যার উত্তরে সে-ও বলে,"তোমরা যেখানে যাবে, আমিও সেখানেই যাব।"  

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)