সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পানাগড় কাণ্ডে ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠক করে আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ইভটিজিং হয়নি। তরুণীর গাড়িই রেষারেষি করছিল, তার জেরেই এই পরিণতি। পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ মৃতার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, পুলিশ কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে। পানাগড় কাণ্ডে মুখ খুললেন তিলোত্তমার বাবাও।
রবিবার রাতে পানাগড়ে ঘটে গিয়েছে ভয়ংকর কাণ্ড। সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় নামে তরুণীর মৃত্যুতে উঠে এসেছে ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব। প্রথমে জানা যায়, ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই নৃত্যশিল্পীর। কিন্তু আসানসোল-দুর্গাপুরের সিপি সুনীল চৌধুরীর দাবি একেবারে ভিন্ন। সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়েছেন, কোনও ইভটিজিংয়ের ঘটনাই ঘটেনি। বরং তরুণীর গাড়িই নাকি ওই যুবকদের গাড়ির সঙ্গে রেষারেষি করছিল। তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারান নৃত্যশিল্পী তথা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার। দুর্ঘটনায় ভয় পেয়ে নাকি এলাকা ছাড়েন যুবকেরা। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও দেখানো হবে বলে জানালেন সিপি। তাঁর এই বক্তব্যে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মৃতার মা। তিনি বলেন, পুলিশ কিছু একটা আড়াল করার চেষ্টা করছে। এখানেই শেষ নয়। তনুশ্রীদেবীর কথায়, “আমার মেয়ে আগে বিহারে কাজ করত। সেখানেও এধরনের ঘটনা ঘটে না। কিন্তু এখানে যতবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, ততবার আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন তিলোত্তমার বাবাও। তিনি বলেন, “কর্মক্ষেত্রের মত সুরক্ষিত জায়গায় যদি আমার মেয়ের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। আসল অপরাধীদের যদি এভাবেই আড়াল করার চেষ্টা চলে, তাহলে দুষ্কৃতীরা সাহস পাবেই।”