১৭ দিনেই নিউ টাউন ধর্ষণ-খুনে চার্জশিট পেশ পুলিশের, এবার অপেক্ষা দ্রুত বিচারের
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিউ টাউনে কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আদালতে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। বস্তুত হিসাব অনুসারে, ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ১৭ দিনের মাথায় এই চার্জশিট পেশ করা হল। কারণ, নিউ টাউনের ঝোপে কিশোরী অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৭ ফেব্রুয়ারি। আর, আজ বারাসত আদালতে সেই ঘটনার চার্জশিট পেশ করলেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মোট ৯ পৃষ্ঠার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। তার আগে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া সারতে যেমন বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, তেমনই আধুনিক প্রযুক্তি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ঘটনায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করেছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার। এর পাশাপাশি, সমস্ত ফরেন্সিক নথি, মেডিকো-লিগাল নথি এবং ডিজিটাল নথিও খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেইসঙ্গে, তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন জিও-লোকেশন-ভিত্তিক নথিও যাচাই করেছেন তদন্তকারী। আর, সেই সবকিছুর ভিত্তিতেই ধৃত টোটোচালককে মূল অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউ টাউনের লোহার ব্রিজের কাছে ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে এই কিশোরীর অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। সামনে আসে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। এলাকার ও আশপাশের অসংখ্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, ওই যুবকে একজন টোটোচালক।
দেহ উদ্ধারের ঘটনার ঠিক দু'দিনের মাথায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই টোটোচালককে গ্রেফতার করা হয়। এখনও পর্যন্ত যতটুকু খবর, সেই অনুসারে - জেরায় অপরাধ কবুল করেছেন ওই ব্যক্তি। এমনকী, তাঁর স্ত্রীও তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। ইতিমধ্যেই ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়েছে।
বিধাননগর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা চাইছে এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের মতোই দ্রুত বিচার ও রায়দান হোক।
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গায় - যেমন - জয়নগর, ফরাক্কা থেকে শুরু করে কলকাতা বড়তলা - নাবালিকাদের যৌন নিগ্রহ ও খুনের ঘটনায় কার্যত রেকর্ড টাইমে তদন্ত শেষ করা হয়েছে এবং আদালতও অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গেই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে কঠোরতম শাস্তি ঘোষণা করেছে। যদিও তারপরও এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা বন্ধ হয়নি।