প্রায় দিনই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে হাতি। খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে ভাঙচুর চালিয়েছে দাঁতাল। দোকানঘর ভেঙে চকোলেট থেকে চাল, ডাল সব কিছু নিমেষে সাবাড় করে দিয়েছে হাতির দল। এমনকী গুদাম ভেঙে মিড ডে মিলের চাল-ও খেয়েছে হাতি। আর এ বার হাতির তোলাবাজি দেখল ঝাড়গ্রাম। লালগড়ের রাস্তায় লরি থামিয়ে হাতি নামিয়ে নিলো আলুর বস্তা। যে ভাবে হাতি রাস্তায় লরি থামিকে আলুর বস্তা নিয়ে চলে যায় তা দেখে কার্যতই অবাক গাড়ির চালক।
সোমবার, গভীর রাতের লালগড়ের জঙ্গল। শুনশান রাস্তাতেই লরি থামিয়ে আলুর বস্তা নামিয়ে নেয় একটি হাতি।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ লালগড়ের জঙ্গলে থাকা ৩০ থেকে ৩৫ টি হাতির দলের মধ্যে একটি হাতি খাবারের সন্ধানে লালগড় পিড়াকাটা রাস্তায় চলে আসে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা এবং গোয়ালতোড়ে বড় বড় আলুর স্টোর আছে। সেখান থেকে আলু নিয়ে লালগড়ের দিকে যাচ্ছিল একটি লরি। তখনই রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে দাঁতাল হাতি।
ওই লরির চালক জানিয়েছেন, রাস্তায় হাতি থেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। দাঁতাল হাতি দেখেই গাড়ির লাইট বন্ধ করে দেন তিনি। আবার আলো জ্বালিয়ে দেন। সেই সঙ্গে হর্ন বাজান। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। কারণ রাস্তা থেকে সরতে নারাজ দাঁতাল হাতিটি । লরি আটকানোর পর শুঁড় দিয়ে লরির তল্লাশি শুরু করে সে। শুঁড় দিয়ে লরি থেকে একটি আলু রাস্তায় নামিয়ে নেয় হাতিটি।
ওই বস্তা ফাটিয়ে মনের আনন্দ দশ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে আলু খেতে থাকে হাতিটি। একটু সুযোগ পেতেই গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যান লরির চালক। ওই সময়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায় অন্য গাড়িগুলিও।
লালগড় রেঞ্জের বন বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, আলু খাওয়া হলে নিজেই জঙ্গলে চলে যায় হাতিটি।
আগেও ঝাড়গ্রামের একাধিক এলাকায় রাস্তায় হাতির দল লরি থেকে খাবার বের করে খেয়েছে।