• বোমার ভয় দেখিয়ে বধূকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত খয়রাশোলের বিজেপি নেতা!
    বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: বোমার ভয় দেখিয়ে টানা দু’বছর এক বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বীরভূমের খয়রাশোলে। তাঁর স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সে তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়েছে। ওই বধূর দাবি, গত সপ্তাহেও অভিযুক্ত যুবক এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। তারপরই ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন। খয়রাশোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁরা লিখিত অভিযোগে অভিযুক্ত যুবককে বিজেপি নেতা হিসেবে দাবি করেছেন। খয়রাশোলের ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলায় রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসকদল গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, ওই ব্যক্তির সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। সোমবার দুবরাজপুর আদালতে মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। জেলার পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


    ওই বধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় এলাকারই বাসিন্দা। সেই সূত্রে ওই বধূর স্বামীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ও তাঁদের বাড়িতে অভিযুক্তের অবাধ যাতায়াত ছিল। অভিযোগ, প্রায় দু’বছর আগে মহিলার স্বামীর অবর্তমানে সে বোমা হাতে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে স্বামীকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। তারপর থেকেই মহিলাকে ধর্ষণ করেছে সে। সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই মহিলার স্বামী বিষয়টি জানার পরই গ্রামবাসীদের জানান। অভিযোগ, সেসময়ও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। তারপর ফের ওই বধূর উপর নির্যাতন চলে। তখনই স্বামীকে নিয়ে ওই বধূ থানায় অভিযোগ জানান।


    ওই বধূর দাবি, অভিযুক্ত স্থানীয় বিজেপি নেতা। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও রয়েছে। বধূ বলেন, ও স্বামীকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করত। আমার স্বামী কাজে গেলেই বাড়ি চলে আসত। বধূর স্বামী বলেন, ভয় দেখিয়ে আমার স্ত্রীকে দু’বছর ধরে নির্যাতন করছিল। আমার স্ত্রী সহ্য করতে না পেরে আমাকে সমস্ত ঘটনা জানায়। কয়েকদিন আগেও বোমা দেখিয়ে স্ত্রী’র উপর অত্যাচার চালিয়েছিল। আমার বাচ্চাদেরও হুমকি দিত।


    যদিও দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, ওই ব্যক্তির সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। সে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই ঘটনায় সে দোষী প্রমাণিত হলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমরা এধরনের ঘটনাকে সমর্থন করি না।


    জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা আরজি করের ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে রাস্তায় মিছিল করছিলেন, তাঁরা আজ কোথায়? তিনি বলেন, বিজেপির ছত্রছায়ায় যারা রয়েছে তাদের অনেকেই দাগী দুষ্কৃতী। বিভিন্ন সময় এরা দুষ্কর্ম করে। আমরা পুলিসকে বলব, নিরপেক্ষ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক।
  • Link to this news (বর্তমান)