• বেহাল দশায় নবদ্বীপের প্রবেশপথ, হুঁশ নেই রাজ্য পূর্ত দপ্তরের
    বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: শহরের অন্যতম ‘প্রবেশপথ’ নবদ্বীপ রেলগেট। অথচ, গেট সংলগ্ন রেলের মাঠ থেকে রানির ঘাট পর্যন্ত পিডব্লুডির নবদ্বীপ মিউনিসিপ্যাল লিঙ্করোড রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। রাস্তাটির বেশকিছু অংশে পিচ উঠে খোয়া বের হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার রাস্তা ভেঙে গর্ত হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় ড্রেনের পাশের রাস্তায় ধস নেমেছে। পুরসভা থেকে বালির বস্তা দিয়ে ধস আটকে রাখা হয়েছে। তীর্থভূমি নবদ্বীপের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন যাতায়াত করে। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ পথচারী ও নবদ্বীপ ধামে বেড়াতে আসা ভক্ত-পর্যটকদের।


    নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, এই রাস্তাটি নবদ্বীপ শহরের অন্যতম প্রধান রাস্তা। প্রাণকেন্দ্রও বলা চলে। রাস্তাটি মেরামতির জন্য পিডব্লুডি রোডস কৃষ্ণনগরকে বারবার জানিয়েছি। ওঁরা জানিয়েছেন, টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই রাস্তার কাজ শুরু হবে। দোলের আগেই এই রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে।


    জানা গিয়েছে, এই রাস্তাটি নবদ্বীপ রেলগেট সংলগ্ন রেলওয়ে রিক্রিয়েশন ক্লাবের মাঠ থেকে শুরু হয়ে তেঘরিপাড়া বাজার, মণিপুর মোড়, দেয়ারাপাড়া, দণ্ডপাণিতলা, রাধাবাজার, পোড়ামাতলা, বাগচীপাড়া, ব্রজানন্দ গোস্বামী রোড হয়ে রানির ঘাট পর্যন্ত গিয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তাটির অধিকাংশই ভেঙেচুরে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উৎসবের সময় এলে কোনওরকমে জোড়াতালি দিয়ে রাস্তা সারানো হয়। কিছুদিন পরেই সেই তাপ্পি উঠে গিয়ে গর্ত বের হয়ে যায়। বিশেষ করে তেঘরিপাড়া রোড, দেয়ারাপাড়া, দণ্ডপাণিতলা, রাধাবাজার, রণকালিতলা, পোড়ামাতলা রোডে জোড়াতালি অংশগুলি উঠে গিয়েছে। রানির ঘাটে ড্রেনের পাশের রাস্তায় অনেকদিন আগে ধস নামে। পুরসভা থেকে সেখানে বালির বস্তা চাপানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি নতুন করে তৈরি করা হোক।


    তেঘরিপাড়া-মণিপুর মোড়ের মাথায় অশোক সেনের স্টেশনারি দোকান। তিনি বলেন, কয়েকমাস আগে রাস্তার ভেঙে যাওয়া অংশগুলিতে জোড়াতালি দেওয়া হয়। মোড়ের মাথার ম্যানহোলের চারপাশ ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই এলাকায় অনেক ছোট বড় মঠ-মন্দির রয়েছে। দোলের সময় নবদ্বীপে লক্ষ লক্ষ লোক আসেন। তার আগে গুরুত্ব সহকারে রাস্তাটি মেরামত করা উচিত। মণিপুর কলোনির বাসিন্দা বৃদ্ধ প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, এই রাস্তা দিয়ে টোটোয় যাওয়া যায় না। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। সেজন্য কষ্ট হলেও এই রাস্তা দিয়ে হেঁটেই চলাচল করি।


    ২৪নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পারুল দেবনাথ বলেন, রাসের আগে জোড়াতালি দিয়ে কাজ করেছিল। কিছুদিনের মধ্যেই পুরোটাই উঠে গিয়েছে। সামনেই দোল। এখন থেকেই নবদ্বীপে অনেক বাইরের মানুষ আসতে শুরু করেছেন। দোলের আগে রাস্তাটি অবশ্যই মেরামত করা প্রয়োজন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)