মুর্শিদাবাদের প্রবেশপথে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তিতে জমছে ধুলো
বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, লালবাগ: ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ শহরে ঢোকার মুখে রাস্তার পাশে রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিমূর্তি। কিন্তু নিয়মিত দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রাস্তার ধূলো জমে মলিন হচ্ছে সেগুলি। স্বাধীনতা সংগ্রামী মহাপুরুষদের প্রতি পুরসভার এই উদাসীনতা ও অবহেলায় রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাবেক নবাবের শহরের নাগরিকরা। তাঁরা রীতিমতো অভিযোগের সুরে বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিমূর্তি বসালেই হবে না, তার রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্চার বিষয়েও পুরসভাকে নজর দিতে হবে। শহরবাসীর অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে দিনরাত যানবাহন চলছে। সেই কারণে পথের ধূলো উড়ে গিয়ে জমছে। তবে দুই-একদিনের মধ্যেই মূর্তিগুলি পরিষ্কার করা হবে। সাবেক নবাবি তালুক মুর্শিদাবাদ শহরে হাজারদুয়ারী প্যালেস, কাটরা মসজিদ, ইমামবাড়া সহ একাধিক স্থাপত্য নিদর্শন বা দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এই সমস্ত স্থাপত্যের নিদর্শনের টানেই দেশ বিদেশের পর্যটকরা মুর্শিদাবাদ শহরে আসেন। ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার আসার পরেই নবাবি ইতিহাস সমৃদ্ধ মুর্শিদাবাদকে রাজ্য তথা দেশের পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের গ্রিন সিটি প্রকল্পে নবাবি ইতিহাস সমৃদ্ধ মুর্শিদাবাদ শহরকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয় । শহরে ঢোকার মুখে রাস্তার পাশে বাঁদিকে লোহার রেলিং ঘিরে স্বাধীনতা সংগ্রামের বেশ কয়েকজন মহান যোদ্ধাদের প্রতিমূর্তি বসানো হয়। বহরমপুর-লালবাগ সড়ক পথে শহরে ঢুকতে প্রথমেই রয়েছে মহাত্মা গান্ধী এবং তার অনুগামীরা। দ্বিতীয় অংশে রয়েছে ক্ষুদিরাম, মাতঙ্গিনী হাজরা এবং ভগত সিং এবং এর পরে রয়েছে বিনয়-বাদল-দীনেশের প্রতিমূর্তি। শহরকে সাজিয়ে তুলতে মনীষীদের প্রতিমূর্তি বসানোর পুরসভার উদ্যোগকে শহরের সর্বস্তরের মানুষ সাধুবাদ জানালেও পথের ধূলোয় প্রতিমূর্তিগুলি মলিন হওয়ায় রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা সমীরণ কুন্ডু বলেন, পুরসভার নজরদারীর অভাবে প্রতিমূর্তিগুলির উপরে পুরু ধূলোর আস্তরণ পড়ে রয়েছে। অথচ এই শহরে প্রতিদিন পর্যটকরা আসছেন। মনীষীদের প্রতি এই অবহেলা তাদের কাছে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। অপর এক বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক দেবাশিস সাহা বলেন, মূতিগুলি নিয়মিত পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভাকে উদ্যোগী হতে হবে। তা না হলে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান মনীষীদের অবমাননা হবে।