• নবদ্বীপে যাত্রার মাধ্যমে সমাজ সচেতনতার বার্তা অঞ্চল তৃণমূলের
    বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: গ্রামবাংলায় যাত্রাশিল্প ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। এবার যাত্রাশিল্পকে বাঁচানোর পাশাপাশি জনসংযোগ ও মানুষকে সমাজ সচেতনতার বার্তা দিতে উদ্যোগী হল তৃণমূল। নবদ্বীপের মাজদিয়া-পানশিলা অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে রবিবার রাতে শিমুলগাছি পঞ্চায়েত প্রাঙ্গণে যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করা হয়। শাসকদলের জনপ্রতিনিধি, নেতা-কর্মীরা তাতে অভিনয় করেছেন।


    ওইদিন রাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে যাত্রাপালার উদ্বোধন করেন নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা। ‘সোহাগ রাতের শেষ সানাই’ যাত্রা মঞ্চস্থ হয়। যাত্রাপালায় অভিনয় করেন শাসকদলের ১৭জন নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধি। বহুদিন পর এলাকায় যাত্রাপালার খবর পেয়ে আশপাশের গ্রাম থেকেও অসংখ্য মানুষ সেখানে ভিড় করেন।


    বিমানকৃষ্ণবাবু বলেন, নবদ্বীপ ও আশপাশের অঞ্চলে বহুকাল ধরে যাত্রার রেওয়াজ ছিল। এখন কোথাও কোথাও যাত্রা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার বেশ কিছু অঞ্চলে ফের যাত্রার চল দেখা যাচ্ছে। এই সংস্কৃতি বেঁচে থাকুক, আমরা সবাই চাই।


    মঞ্চে অভিনয় করেন মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাহিদুল শেখ, পঞ্চায়েতের শিল্প পরিকাঠামো দপ্তরের সঞ্চালক মিঠুন ঘোষ, তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যা মিনা সরকার, অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আজিজ আলি মণ্ডল। শিমুলগাছির প্রবীণ বাসিন্দা খোরশেদ শেখ বলেন, একটা সময় আমরাও যাত্রা করেছি। ৩০বছর পর গ্রামে যাত্রা দেখে ভালো লাগল।


    আজিজ আলি মণ্ডল বলেন, আমি আদর্শ বাবার ভূমিকায় অভিনয় করছি। ৪০বছর ধরে অভিনয় করছি। ক্লাস সেভেনে পড়তেই আমার অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়। মিনা সরকার বলেন, অনেক আগে কলকাতার দু’টি দলে অভিনয় করেছি। ৩০বছর পর আমার স্বামীর পরিচালনায় ফের যাত্রায় অভিনয় করলাম। এই পালায় আমি পুলিস চরিত্রে ছিলাম।


    পঞ্চায়েতের শিল্প-পরিকাঠামো সঞ্চালক মিঠুন ঘোষ বলেন, আমি যাত্রার নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই অঞ্চলে অনেকেই যাত্রাদলে অভিনয় করতেন। মূলত তাঁদের অনুপ্রেরণায় যাত্রার মাধ্যমে মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছি। সমাজে বিভিন্ন ছোটখাট বিষয় ঘিরে সংসারে অশান্তি বা ভুল বোঝাবুঝি হয়। কীভাবে সেসব মোকাবিলা করা যায়, সেই বার্তা দিতে আমাদের এই যাত্রাপালা। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)