• সমাজবাড়িতে দাদামশাইয়ের তিরোভাব স্মরণ-মহোৎসব
    বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপের সমাজবাড়ি আশ্রমে ১০৮ শ্রীশ্রী রাধারমণ চরণদাসদেবের (দাদামশাই) ১১৯তম তিরোভাব স্মরণ-মহোৎসব শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে নবরাত্রিব্যাপী নামযজ্ঞ, সাধুসেবা, দাদামশাইয়ের মহাভিষেক ও মহাপ্রভুর সপার্ষদ ৬৪মহন্তর ভোগ আরাধনা হবে। তারপর ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণব ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। ৩ মার্চ উৎসবের শেষদিনে দাদামশাইয়ের গুরুদেব গৌরহরি দাস বাবাজী মহন্ত মহারাজের তিরোভাব তিথি উদযাপন হবে। ১৯ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় অধিবাস, পূজা ও কীর্তনের মধ্য দিয়ে মহোৎসব শুরু হয়। ২০-২৮ ফেব্রুয়ারি নয়দিনব্যাপী নামসংকীর্তন ও প্রতিদিন বিকেলে ভক্তিগ্রন্থ পাঠ হবে। ২৮ফেব্রুয়ারি সকালে নামসংকীর্তন সহ ভজনকুঠির হয়ে পরিক্রমা সমাজবাড়ি আশ্রমে ফিরে আসবে। তারপর মধ্যাহ্নে গঙ্গাজল দিয়ে দাদামশাইয়ের মহাভিষেক হবে। ওইদিন দূরদূরান্ত থেকে আসা প্রায় ১০হাজার ভক্ত ও পুণ্যার্থী গঙ্গাজল দিয়ে দাদামশাইয়ের মূর্তিকে স্নান করাবেন। ১ মার্চ শনিবার সকালে শ্রীরাধারমণ চরণদাসদেবের সূচক-কীর্তন হবে। ওইদিনই মধ্যাহ্নে ৬৪ মহন্ত সহ মহাপ্রভুর ভোগ আরাধনা হবে। তারপর প্রসাদ বিতরণ হবে। ২মার্চ রবিবার বিকেলে ছয় গোস্বামীর পাঠ হবে। ৩ মার্চ শ্রীশ্রী গৌরহরিদাস বাবাজি মহারাজের তিরোভাব তিথিতে নগর-সংকীর্তনের মাধ্যমে মহোৎসবের সমাপ্তি হবে। সমাজবাড়ি আশ্রমের অধ্যক্ষ ঠাকুর কৃষ্ণদাস বাবাজী মহারাজ বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসবে বিদেশ থেকেও বহু ভক্ত আসবেন। তিনি জানান, দাদামশাইয়ের জন্ম যশোহর জেলার মহিষখোলা গ্রামে। সাধন-ভজনের জন্য ৪০বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করেন। টানা ১২বছর বৃন্দাবন, নীলাচল, নবদ্বীপ-এই তিন জায়গায় সাধন-ভজনে নিমগ্ন ছিলেন। জগৎজীবকে নাম বিতরণ করেছেন। বহু জীবের মনোবাসনা পূর্ণ করেছেন তিনি। এমনকী, সারমেয়দের জন্য মহোৎসব দিয়েছিলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)