• লালে ভাঙন, প্রার্থীই খুঁজে পায়নি গেরুয়া শিবির, চনমনে জোড়াফুল
    বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-অপারিটিভ সোসাইটির নির্বাচন নিয়ে কার্যত বেকায়দায় লাল এবং গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে লাল শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করে এক শিক্ষক ঝুঁকছেন জোড়াফুল শিবিরে। আর গেরুয়া শিবিরের অবস্থা আরও শোচনীয়। তারা নির্বাচনের সমস্ত আসনে প্রার্থী‌ই দিতে পারেনি। সেই তুলনায় অনেকটাই ঐক্যবদ্ধ জোড়াফুল শিবির। তারা মিটিং, মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওয়া গরম করে তুলেছে। সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে এনবিইউ চত্বর সরগরম।


    দীর্ঘ দশবছর পর ওই কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যে  চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ১১মার্চ ভোটগ্রহণ। এই অবস্থায় সিপিএম প্রভাবিত সংগঠনে ভাঙন ধরেছে। ইতিমধ্যে লাল পার্টির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক বিভাগের অধ্যাপক মনোরঞ্জন সিংহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির সিপিএম প্রভাবিত গত বোর্ডের সদস্য ছিলেন তিনি। এবারও তিনি প্রথমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে তা প্রত্যাহার করেছেন। তিনি বলেন, গতবার ভোট হয়নি। সর্বসন্মতিক্রমে বোর্ডের সদস্যদের মনোনীত করা হয়েছিল। তাই বামফ্রন্ট প্রভাবিত কর্মচারি সংগঠনের পরামর্শে বোর্ডের সদস্য হয়ে ছিলাম। এবারও মনোনীত বোর্ড হবে ভেবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম। কিন্তু, তিনটি প্যানেল দাখিল হওয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি।


    তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার সভাপতি ভাস্কর বিশ্বাস বলেন, মনোরঞ্জনবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা সমর্থন করছেন। আমাদের হয়ে ভোট প্রচারেও নামবেন। একমাত্র আমাদের প্রার্থী তালিকাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার, শিক্ষক, কর্মচারী ও মহিলা রয়েছে। সিপিএম ও বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তা নেই।


    সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে সিপিএম প্রভাবিত প্রার্থী তালিকায় ১৫জনের নাম থাকলেও তাতে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার নেই। শিক্ষকের সংখ্যাও কম। সিপিএম প্রভাবিত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সম্পাদক সুমন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, মনোরঞ্জনবাবু না থাকলেও আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। তবে, সংশ্লিষ্ট ভোটের সঙ্গে দলীয় রাজনীতির সরাসরি যোগাযোগ নেই। কো-অপারেটিভে কর্মচারীদের সংখ্যাই বেশি। তাই কর্মচারীদের থেকেই বেশি প্রার্থী করা হয়েছে।


    এদিকে, ১৫টি আসনের মধ্যে দু’টিতে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি প্রভাবিত সংগঠন। তাদের প্রার্থী সংখ্যা ১৩জন। তাতে রয়েছেন অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি। সংগঠনের রাজ্য সহ সভাপতি ডঃ অর্ধেন্দু মণ্ডল বলেন, দু’জন মহিলা দরকার ছিল। তা মেলেনি বলেই ১৩জন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। এটা অরাজনৈতিক ভোট। তাই আমাদের শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা ছাড়াও অন্যদের নিয়ে আমাদের প্যানেল তৈরি করেছি।
  • Link to this news (বর্তমান)