সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা-২ ব্লকে বিজেপি শাসিত বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে সোমবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ সামনে আনেন তাঁরা। রীতিমতো মঞ্চ বেঁধে হয় অবস্থান। এই অবস্থান চলবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। যদিও প্রধান জয়ন্ত দে’র দাবি, রাজনৈতিক কারণেই তৃণমূল ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আন্দোলন করছে।
তৃণমূলের দাবি, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার ঘরের তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া, নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়া সহ একাধিক অনিয়ম হয়েছে এই পঞ্চায়েতে। যেসব কাজে অনিয়ম করা হয়েছে, তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে প্রধানকে। প্রধান শ্বেতপত্র প্রকাশ না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। মঙ্গলবারও একইভাবে অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে।
বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে থাকলেও কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য সহ উপ প্রধান সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে বিজেপির ১২ জন ও তৃণমূলের ১১ জন সদস্য রয়েছেন। তৃণমূলের দাবি, তাদের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের না জানিয়েই বুথ এলাকায় একাধিক কাজ করা হচ্ছে। সেই কাজও নিম্নমানের। জলঢাকা নদীর কাউয়ার ঘাট নিলাম না করেই নিজেদের লোককে দিয়ে চালানো হচ্ছে। বেছে বেছে বিজেপির লোকজন নিয়েই কাজ করছেন প্রধান। ওদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা ঠিকাদারি করছেন। গোটা পঞ্চায়েত এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির কাজ হয়নি ঠিকমতো। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, স্বেচ্ছাচারীর মতো শুধু বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও দলের লোকজনকে নিয়েই কাজ করেন প্রধান। বিরোধী তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গোপাল রায় বলেন, পঞ্চায়েত পরিচালনায় আমাদের গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। প্রধান স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে কাজ করছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যেসমস্ত কাজ হচ্ছে প্রতিটি কাজই নিম্নমানের। এনিয়ে আমরা জানানোর পরও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আমাদের দলের লোকজনের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রধানকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। নাইলে আমরা ধারাবাহিক অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।
বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, তৃণমূল রাজনৈতিক কারণেই এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের চেয়ে আমরা অনেক বেশি ভালো কাজ করছি। কাউয়ার ঘাটের নিলাম নিয়ে তৃণমূলই বাধা সৃষ্টি করেছিল। কয়েকমাস পর আমরা নিলাম করব। - নিজস্ব চিত্র।