সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: রাঁচিতে পুরাতন মালদহের এক নাবালিকার শ্লীলতাহানি এবং মোবাইলে ছবি তুলে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় রবিবার গভীর রাতে পুলিস চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের বয়স ২২ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। তাদের বাড়ি পুরাতন মালদহে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অর্কপ্রভ দত্ত এলাকায় বিজেপির সমর্থক বলে পরিচিত। তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে কিছু ছবি দেখা গিয়েছে। যদিও বিজেপির উত্তর মালদহের জেলা সভাপতি উজ্বল দত্ত বলেন, অর্কপ্রভ বিজেপির পদাধিকারি ছিলেন না। সমর্থক হতে পারেন। তাঁর বাবা বিজেপি কর্মী ছিলেন। তিনি আগে দল করতেন।
পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুরাতন মালদহের এক ব্যক্তি তাঁর নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে রাঁচিতে যান। সেখানে একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নাবালিকার বাবা বাইরে খাবার খেতে যান। তখন হোটেলের ঘরে নাবালিকা একাই ছিল। অভিযুক্তরা হোটেলে নাবালিকার ঘরে এসে পরিচয় করে। তারপর নাবালিকার সরলতার সুযোগ নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য ঘরে নিয়ে যায় তারা। অভিযুক্তরা নাবালিকাকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে এবং তার শ্লীলতাহানি করা হয়। মোবাইলে সেই ছবি তুলে নাবালিকাকে হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। তাই নাবালিকা ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি।
৫ অক্টোবর অবশেষে নাবালিকা পরিবারকে সব জানালে ১১ অক্টোবর মালদহ থানায় জিরো এফআইআর হয়। সেখান থেকে রাঁচির নাগরি থানায় কেস ফরোয়ার্ড করা হয়। সোমবার রাতে নাগরি থানার পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তরা পুলিসের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর ইন্ধনে এমন অভিযোগ হয়েছে বলে অভিযুক্তরা দাবি করেছেন।
অর্কপ্রভ দত্ত বলেন, সব মিথ্যা মামলা। বশিষ্ঠ ত্রিবেদী এসব করাচ্ছেন। আমরা ব্যবস্থা নেব। শহর তৃণমূল সভাপতি তথা কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর মন্তব্য, কে কি বলেছে, তাদের কথার গুরুত্ব দিয়ে সময় নষ্ট করব না। অভিযুক্ত বিজেপির সমর্থক, সে প্রসঙ্গে কাউন্সিলার বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপ যেই করুক, সমর্থন করি না। সে বিজেপির লোক কি না, এটা বিজেপি নেতৃত্ব বলবে। আমরা কেমন করে জানব?