‘আপসহীন’ আন্দোলনের মাধ্যমেই শূন্যের গেরো কাটাতে চায় সিপিএম
বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সোহম কর, ডানকুনি: ছাত্রদের রাজনীতিমুখী করা যাচ্ছে না! সিপিএমের ২৭তম রাজ্য সম্মেলনে উঠে এল এমনই ‘উদ্বেগ’। ছাত্রদের রাজনীতিতে আনতে প্রয়োজন আপসহীন আন্দোলনের। আর তার জন্য ছাত্র ফ্রন্ট দলের সবরকম সাহায্য চাইছে বলে সূত্রের খবর। এই ‘আপসহীন’ সংগ্রামের ডাক শুধু ছাত্রদের নয়, সমস্ত ফ্রন্ট ও জেলার তরফে উঠে এসেছে বলে খবর। ডানকুনির কোল ইন্ডিয়া কমপ্লেক্সে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন সোমবার তৃতীয় দিনে পা দিল। বাম কর্মী-সমর্থকদের একাংশের দীর্ঘদিনের বক্তব্য, আন্দোলন শুরু হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মাঝপথে তা আর ধরে রাখা যাচ্ছে না। ফলে কর্মী-সমর্থকরাই একটা সময় হতাশ হয়ে পড়ছেন। এদিন বিদায়ী রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘প্রতিনিধিদের বক্তব্যে আপসহীন সংগ্রামের কথা উঠে এসেছে। কী করণীয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ অধিবেশনে আগামী তিন বছরে পার্টির দিকনির্দেশ ঠিক করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রজেক্ট ঠিক করে নেওয়া হবে। তারপর মিশন তৈরি হবে। এইভাবে আন্দোলন চলবে। প্রতিটা শাখা, অঞ্চল ও জেলার কাজ ঠিক করে দেওয়া হবে। সমন্বয়ের উপর আরও বেশি জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।’ অর্থাৎ শূন্যের গেরো কাটাতে ভাবনায় খামতি রাখছে না সিপিএম। এই প্রথম রাজ্য সম্মেলনের মাঝেই বিশেষ অধিবেশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন বিশেষ অধিবেশনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গ্রামে কীভাবে আন্দোলন হবে, তার রূপরেখা বোঝানো হয়। ইতিমধ্যে জেলা ও বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে প্রতিনিধিরা আলোচনা শেষ করেছেন। সম্মেলনের আগে খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তার উপর ১০০’র বেশি সংশোধনী, পরিমার্জন এসেছে। সেলিম বলেন, ‘আগামীর কর্মসূচি সবার সামনে রাখা হবে। তার উপরেও প্রতিনিধিরা সংশোধনী দেবেন। প্রস্তাবের উপরেও সংশোধনী এসেছে। নতুন করে পুনরায় প্রস্তাব রাখা হবে।’
আজ, মঙ্গলবার সম্মেলনের শেষ দিন নতুন রাজ্য কমিটি গঠন হবে। এদিনই সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রকাশ কারাত, মহম্মদ সেলিম, দেবলীনা হেমব্রম ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সোমবারের সম্মেলনস্থল ছিল একেবারে গুরুগম্ভীর। জেলার নেতারা সমাবেশকে সফল করার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। রাজ্য সম্পাদক কে হবেন? তা নিয়েও ফিসফাস চলছে। এদিন সম্মেলনস্থল থেকে বৃন্দা কারাতের লেখা ‘হিন্দুত্বের হিংসার মুখে নারী’ বইটি প্রকাশিত হয়।