• কাকদ্বীপে জোড়া খুনের তদন্তে দময়ন্তীর জায়গায় মুরলীধরকে দায়িত্ব হাইকোর্টের
    বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাত বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কাকদ্বীপে জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন দময়ন্তী সেন। তাঁর বদলে এবার আইপিএস মুরলিধর শর্মাকে বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মুরলীধর শর্মা বর্তমানে আইজি ট্রেনিং পদে কর্মরত।


    ২০১৮ সালের ১৪ মে কাকদ্বীপে স্থানীয় সিপিএম কর্মী দেবপ্রসাদ দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষারানি দাসের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ঘরে আগুন লাগিয়ে ওই দম্পতিকে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠনের নির্দেশ দেয়। দময়ন্তী সেনকেই  সিটের বাকি অফিসারদের বেছে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। যে কারণে তদন্ত প্রক্রিয়া থমকে যায়। যদিও গত ২০ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। যার জেরে এবার তদন্ত শুরু হওয়ার কথা। এরপর শারীরিক কারণে সিটের প্রধানর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দময়ন্তী। বিচারপতি মান্থা তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিন ওই পদে মুরলীধরের নাম ঘোষণা করেন বিচারপতি। 


    বিচারপতি মান্থা আরও জানিয়েছেন, এবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ৪ মার্চ বিকেল ৪ টের সময় রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ২০১৮ সালের ঘটনায় ২০২৩ সালে কোর্ট সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। এতদিনে কিছু তদন্ত নিশ্চয়ই হয়েছে। সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সহ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। মামলাকারীদের কোথাও কোনও আপত্তি বা বক্তব্য থাকলে আদালত তা শুনবে।
  • Link to this news (বর্তমান)