নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই চলছে চিকিৎসা। সঠিকভাবে মিলছে না পানীয় জল। পাশাপাশি শৌচাগারেরও বেহাল দশা। ফলে, তীব্র হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে রোগীর পরিবারের লোকজনকে।
বসিরহাট উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত বসিরহাট ২ ব্লকে রয়েছে ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতাল। বসিরহাট ছাড়াও বাদুড়িয়া, দেগঙ্গা, হাড়োয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা করান। আউটডোরে রোজ কয়েক’শো রোগী যান। সকাল থেকেই লম্বা লাইন পড়ে যায়। পাশাপাশি রয়েছে ৩০টি শয্যা। ২৪ ঘণ্টাই এখানে চিকিৎসা পরিষেবা মেলে। কিন্তু, হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাব নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে রোগীর পরিবারের লোকজনের। অভিযোগ, এর চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে নোংরা। কোথাও জলের বোতল, কোথাও আবার খাবারের রকমারি প্যাকেট পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় ওষুধের খোলা প্যাকেটও পড়ে থাকছে। ফলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে ধান্যকুড়িয়ার এই হাসপাতালে। এমনকী নেই পানীয় জলের উপযুক্ত ব্যবস্থা। সপ্তাহখানেক ধরে হাসপাতালে থাকা একটি নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে। তাই, বাইরে থেকে পানীয় জল কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সঠিকভাবে হাসপাতালের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয় না। দীর্ঘদিন ধরেই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন আটকে রয়েছে। ফলে, নতুন করে কর্মীদের কাজ করানো সমস্যার।
এ নিয়ে হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি একাধিকবার বৈঠক করলেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। রোগীর পরিবারের সদস্য আনোয়ার আলি, মিন্টু পাল, তুতুল মণ্ডলরা বলেন, রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে জল কিনে এনে দিতে হচ্ছে। একটি নলকূপ ছিল, তা থেকে জল বের হয় না। শৌচাগার বা উপযুক্ত বিশ্রামাগার নেই। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনা পড়ে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে বসিরহাট ২-এর বিএমওএইচ অপলা সরকার বলেন, অর্থ না আসায় সমস্য হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিং আলোচনা করেছি। তবে পানীয় জল নিয়ে যে সমস্যা ছিল তা মেটানো গিয়েছে। - নিজস্ব চিত্র