• চাষাবাদের জন্য ভূগর্ভের জল তুলে বিক্রির অভিযোগ, পানীয় জলের সঙ্কটের আশঙ্কা
    বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শীত বিদায় নিতেই পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে। অকেজো হয়ে পড়েছে একাধিক টিউবওয়েল। তা দিয়ে আর জল পড়ে না। তার উপর ধান চাষের জন্য গভীর নলকূপ বসিয়ে যথেচ্ছভাবে জল তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদের একাংশ আবার সেই জল তুলে চাষিদেরই টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছে। বাসন্তী জুড়ে এই চিত্র উঠে এসেছে। এই প্রবণতা চলতে থাকলে গ্রীষ্মকালে পানীয় জলের যে ব্যাপক সঙ্কট দেখা দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


    বাসন্তী ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে জ্যোতিষপুর, নফরগঞ্জ, ঝড়খালি, ভরতগড়, বাসন্তী, উত্তর মোকামবেড়িয়া এবং আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শ্যালো পাম্প বসিয়ে জল তুলে বিক্রির ঘটনা সবচেয়ে বেশি। সেচের জন্য বিঘা পিছু ২৫০০ টাকা দিয়ে জল কিনছেন কৃষকরা। নিরুপায় হয়েই ওই জল কিনতে হচ্ছে তাঁদের। না হলে মার খাবে চাষ।


    বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকদের উচিত এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে পরীক্ষা করে দেখা। কারা পাম্প বসিয়ে বেআইনিভাবে জল তুলছে, কাদের জল তোলার অনুমতি রয়েছে, সবই যাচাই করা দরকার। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল— শুখা মরশুম। এই সময় বৃষ্টি না হওয়ায় সেচের জন্য ভূগর্ভের জল উত্তোলন করতে হয়। ধান চাষে প্রচুর জল লাগে। পরিকল্পনা ছাড়াই এভাবে ভুগর্ভের জল তুলে ফেলায় জলস্তর আরও নীচে চলে যায়। যেকারণে সুন্দরবন জুড়েই পানীয় জলের হাহাকার দেখা দেয়। সেকথা মাথায় রেখেই ব্লক প্রশাসন বাসন্তীর কৃষকদের ধান কমিয়ে সব্জি চাষের জন্য উৎসাহিত করছে। পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হতে পারে, এটা ধরে নিয়েই জনস্বাস্থ্য কারিগারি দপ্তর এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।


    (এভাবেই অকেজো হয়ে রয়েছে টিউবওয়েল। - নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)