সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: পাইকারি বাজারে দাম নেই। তাই গাছেই পচছে কুইন্টাল কুইন্টাল টম্যাটো। এমনকী গাছের তলাতেও কিলো কিলো পাকা টম্যাটো পড়ে রয়েছে। বাগান থেকে তুলে নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছেন কৃষকরা। কারণ এখন পাইকারি বাজারে টম্যাটোর বাজারদর এক টাকা কিলো। কুলপি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় টম্যাটো চাষ হয়। প্রচুর কৃষক এই চাষের উপর জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এবছর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে তাঁদে দাবি। এক্ষেত্রে প্রথমের দিকে টম্যাটোর বাজারদর বেশি থাকায় লাভের আশা করেছিলেন কৃষকরা। প্রথমের দিকে পাইকারি বাজারে টম্যাটো বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা কিলো দরে। এরপর হঠাৎই বাজার দর কমে যায়। বর্তমান পাইকারি বাজারে দাম রয়েছে মাত্র এক টাকা কিলো। তাই কোনও কৃষক আর বাগান থেকে টম্যাটো তুলছেন না। তাঁদের অভিযোগ, বাজারে বিক্রি করে বাগান থেকে টম্যাটো তোলার খরচটুকুও উঠছে না।
কুলপির এক টম্যাটোচাষি রবীন্দ্রনাথ তাঁতি বলেন, এ বছর ছয় হাজার টম্যাটো চারা বসানো হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমের দিকে ভালো দামে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাজারদর পড়ে গিয়েছে। এখন পাইকারি বাজারে এক টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। প্রতিটি গাছে প্রচুর টম্যাটো থাকা সত্ত্বেও কেউ তুলছেন না। কারণ গাছ থেকে টম্যাটো তুলতে গেলে একজনকে প্রায় ৪০০ টাকা মজুরি দিতে হয়। এছাড়াও গাছ থেকে তুলে নিয়ে পাইকারি বাজারে যেতে হলে গাড়ির খরচা লাগে। এই খরচটুকুও এখন উঠছে না। তাই বাগানের মধ্যেই পড়ে রয়েছে কুইন্টাল কুইন্টাল টমেটো। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সব কৃষকরা।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরুণকুমার সেনাপতি বলেন, এ বছর সব্জি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আবহাওয়া খুব উপযোগী ছিল। তাই ফলন বেশি হওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র