নাবালকের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার আত্মীয়দের, হোমে পাঠাচ্ছে পুলিস
বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাসপাতালের বিল মেটাবে কে? প্রথমে সেই ঝক্কি পোহাতে হয়েছে পুলিসকে। এবার নাবালকের দায়িত্ব নেবে কে? তা নিয়ে বিস্তর জটিলতা তৈরি হল। ট্যাংরার দে পরিবারের সাতকুলে থাকা আত্মীয়রা প্রণয় দে’র ছেলের দায়িত্ব নিতে রাজি নন। শেষমেশ লালবাজারের হস্তক্ষেপে ছোটভাই প্রসূন দে ও তাঁর নাবালক ভাইপোকে সোমবার সন্ধ্যায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ, মঙ্গলবার ‘সুস্থ’ সার্টিফিকেট দিয়ে দে বাড়ির সর্বকনিষ্ঠ সদস্যকে হোমে স্থানান্তর করতে পারে পুলিস।
গত বুধবার রুবির কাছে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ট্যাংরায় তিন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত দুই ভাই প্রণয় দে ও প্রসূন দে। গাড়িতে সামনের আসনে ছিল প্রণয়ের ১৪ বছর বয়সি ছেলে। তিনজনকেই স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসার পর শনিবার রাতে এন আর এস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় প্রণয়কে। হাসপাতালে তার বিল হয়েছিল প্রায় ২ লক্ষ টাকা। কিন্তু, সেই বিল মেটানোর জন্য পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। সেদিন সরকারি হাসপাতাল বেড সংকুলান না হওয়ায় সোমবার প্রসূন ও তার ভাইপোকে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিস। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নাবালক সুস্থ রয়েছে। পাঁচদিনে তার বিল হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। সেই টাকা মিটিয়ে কিশোরকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্যাংরা থানার পুলিস। সূত্রের খবর, দূর সম্পর্কের এক মামা জানিয়ে দেন, নাবালকের দায়িত্ব তিনি নিতে পারবেন না। পুলিসকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। এরপরেই লালবাজারে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন আধিকারিকরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সহায়তায় নাবালককে হোমে পাঠানো হবে। এদিন রাতেই এন আর এসে নিয়ে যাওয়া হয় দু’জনকে। সূত্রের দাবি, প্রণয় ও প্রসূনকে সেখানেই মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করবেন হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা। এরপরেই তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।