সরকারি জমিতে পাঁচিল দেওয়ার প্রতিবাদ জানানোয় যুবককে মারধর, জখম মা ও স্ত্রী
বর্তমান | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: রাস্তার পাশে থাকা জমিটি পূর্তদপ্তরের। কিন্তু অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলারের স্বামীর মদতে ব্যক্তি উদ্যোগে সেই সরকারি জমিতে পাঁচিল তুলে দিচ্ছিলেন এলাকার কিছু মাতব্বর। স্বাভাবিকভাবেই তাতে আপত্তি জানান এলাকার এক বাসিন্দা। সেজন্য তাঁকে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠল উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের স্বামী ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এলে তাঁর স্ত্রী ও মাকেও মারধর করা হয়। সোমবার এই ঘটনায় আহত ওই দুই মহিলা উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত ব্যক্তি উলুবেড়িয়া থানার পাশাপাশি উলুবেড়িয়া পুরসভায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিন বেশি রাতে পুলিস একজনকে আটক করে এবং ওই পাঁচিলও ভেঙে দেয়।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পারিজাত ঘোষপাড়ায় উলুবেড়িয়া শ্যামপুর রাস্তার পাশে পূর্তদপ্তরের একটি জমি আছে। সোমবার সকালে ওই জমিটিতে পাঁচিল দেওয়া শুরু হয়। ওই সরকারি জমির পিছনেই জমি রয়েছে সাফিনুন নাজিরের। তিনি ওই পাঁচিল তৈরিতে বাধা দেন। অভিযোগ, তখন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তানভি নিজাম মোল্লার স্বামী নিজাম মোল্লা দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাফিনুনকে মারধর করেন। সাফিনুনকে বাঁচাতে এসে তাঁর স্ত্রী কাশেমা খাতুন ও মা রোওশনারা বেগমও প্রহৃত হন। সাফিনুন জানান, রাস্তার পাশে পূর্তদপ্তরের জমির পিছনে আমার একটা জমি আছে। পূর্তদপ্তরের পুরো জায়গাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু হয় কাউন্সিলারের স্বামীর উদ্যোগে। আপত্তি করতে গেলে আমাদের নিজাম মোল্লা ও তাঁর লোকজন মারধর করেন।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন নিজাম মোল্লা। তিনি জানান, জমির সমস্যা নিয়ে আমাকে ফোন করা হয়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমসার সমাধান করি। ওখানে পুরনো পাঁচিলটা ভেঙে গিয়েছিল, সেটা মেরামত করা হচ্ছিল। কোনও নতুন পাঁচিল দেওয়া হয়নি। আর উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস জানান, ওটা পূর্তদপ্তরের জায়গা। কোনওভাবেই ওখানে অনধিকার প্রবেশ করা যাবে না। বিষয়টি পূর্তদপ্তরের পাশাপাশি পুলিস, প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে।