• শিক্ষকের অভাব, সমস্যা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে
    এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, রায়গঞ্জ: পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে সমস্যা বাড়ছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুপারভাইজারের অভাবে ছ’বছর ধরে পিএইচডি করতে না–পারায় সম্প্রতি, আব্দুল মোস্তাক আলম নামে এক ছাত্র কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। একই সমস্যায় পড়েছেন পিএইচডি করতে আসা অপর এক ছাত্রী আলো রায় বাড়ুই। তিনিও সুপারভাইজারের অভাবে পিএইচডি করতে পারছেন না। শুধু পিএইচডি নয়, পড়াশোনার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের।

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৫৪ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকার পদ থাকলেও বর্তমানে ৯১ জন শিক্ষক রয়েছেন। মোট ২২টি বিভাগে ইউজি (আন্ডার গ্রাজ়ুয়েট) ও ২৩টি বিভাগে পিজ়ি (পোস্ট গ্রাজুয়েট) পড়ানো হয়। সঙ্গে রয়েছে পিএইচডি। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ছাতার তলায় ইউজি, পিজি এবং পিএইচডি অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা পড়ান।

    বিশেষ করে কলা বিভাগের মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি এবং বিজ্ঞান বিভাগের মধ্যে ফিজ়িক্স, কেমিস্ট্রি, জুওলজি়, বোটানি ও সেরিকালচার বিভাগে ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা রয়েছে। ইউজি, পিজি পড়াশোনার পাশাপাশি পিএইচডির ক্ষেত্রেও বড় সমস্যা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টেন্সি বিভাগের তৃতীয় সেমেস্টারের ছাত্র সংযোগ দত্ত বলেন, ‘কোনও শিক্ষক যে দিন অসুস্থ থাকেন বা কোনও কারণে ছুটি নেন, সেদিন তার পরিবর্তে অন্য কোনও শিক্ষক ক্লাস নেন না। ক্লাস বন্ধ থাকে।’

    নিয়মানুযায়ী একজন প্রফেসর মোট ৮ জনকে, একজন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মোট ৬ জনকে এবং একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মোট ৪ জনকে সুপারভাইজ করতে পারেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি-র চাহিদাও রয়েছে প্রবল। পর্যাপ্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকার অভাবে তাতেও সমস্যা হচ্ছে। তা ছাড়া ইউজি-তে এনইপি (ন্যাশনাল এডুকেশনাল পলিসি), পুরোনো সিবিসিএস (চয়েজ় বেসড্ ক্রেডিট সিস্টেম), পিজি-তে নতুন সিলেবাস, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের মতো নানা বিষয়ে পড়ানো এবং পড়ার ক্ষেত্রেও চাপ বাড়ছে। ভিজিটিং শিক্ষক ও গেস্ট লেকচারার দিয়েই কোনও রকমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন পাঠন চালানো হচ্ছে।

    সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার। তিনি বলেন, ‘ইউনিভার্সিটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে শূন্যপদ রয়েছে। লকডাউনের আগে শেষ অধ্যাপক-অধ্যাপিকা নিয়োগ হয়েছে, তারপর বিভিন্ন জটিলতার কারণে সম্ভব হয়নি। এতে করে বর্তমান অধ্যাপক অধ্যাপিকাদেরও চাপ বাড়ছে। ছাত্রছাত্রীদেরও অসুবিধা হচ্ছে।’

  • Link to this news (এই সময়)