‘ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ মনে হল গোটা শরীরটা কাঁপুনি দিয়ে উঠল। কেউ যেন খাট সমেত আমাকে ঝাঁকিয়ে দিল। পড়িমরি করে সোজা এক ছুটে বাইরে বেরোলাম।’ এমন আতঙ্কেই ঘুম ভাঙে মঞ্জুলা নন্দী-সহ দক্ষিণবঙ্গের সিংহভাগ বাসিন্দার। মঙ্গলবার সাতসকালে তীব্র কম্পন অনুভূত হল বাংলায়।
এদিন সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিঘা, রামনগর, কাঁথি-সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুর। কম্পনের তীব্র অনুভূতি হয় বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৫। এদিন সকাল ৬টা ১০ নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা বলে খবর। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিমি গভীরে। তাই উপকূলেই অনুভূত হয়েছে কম্পন। ভূমিকম্পের উৎসস্থলের অবস্থান ১৯.৫২ উত্তর অক্ষাংশ, ৮৮.৫৫ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।
মঞ্জুলা নন্দীর মতোই আতঙ্কে ঘুম ভেঙে যায় বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ নন্দীর। ঘুমের মধ্যে প্রথমটা কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসার পর মাথার উপরে তাকিয়ে দেখেন পাখাটা মারাত্মক ভাবে দুলছে। তখনই তাড়াতাড়ি করে বাড়ির সকলকে ডেকে নিজেই বেরিয়ে আসেন বাইরে। কিছুদিন আগেই খবরে দেখেছিলেন দিল্লির ঘটনা। ভোরের ভূমিকম্পে সে দিনের ঘটনাই প্রথম মনে আসে তাঁর।
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ভূমিকম্প হওয়ায় তা বাংলার পাশাপাশি অনুভূত হয়েছে ওডিশা ও বাংলাদেশেও। তবে কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর মেলেনি। সপ্তাহখানেক আগে ভোরবেলা এমন ভাবেই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিল্লি-সহ পাশ্বর্বর্তী অঞ্চল। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৪ থাকলেও কম্পনের অনুভূতি হয় অনেক বেশি। গত সপ্তাহেই আন্দামান সাগরেও ভূমিকম্পের খবর মিলেছিল।