এই সময়: একঝাঁক প্রবীণ নেতা বাদ পড়তে চলেছেন সিপিএমের নতুন রাজ্য কমিটি থেকে। এদের মধ্যে রয়েছেন অমিয় পাত্র, অশোক ভট্টাচার্য ,সুশান্ত ঘোষ, জীবেশ সরকার, অঞ্জু কর সহ মোট ৮ জন। ডানকুনিতে সোমবার দলের রাজ্য সম্মেলনের পরে বিদায়ী রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে নতুন প্যানেল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নতুন রাজ্য কমিটির এই প্যানেল আজ, মঙ্গলবার সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের শেষ দিনে পেশ করা হবে। যদিও নতুন প্যানেল নিয়ে বিদায়ী রাজ্য কমিটির বৈঠকে মতান্তর রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ অফিসিয়াল প্যানেল পেশ হলে সেই প্যানেলকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক নতুন নাম আসতে পারে। যদি সমঝোতা সূত্র না বেরোয় তাহলে ভোটাভুটির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সিপিএমের রাজ্য কমিটির একাধিক সদস্য।
দলের নতুন রাজ্য কমিটির অন্য এক অঙ্কও রয়েছে। যদি মাদুরাই পার্টি কংগ্রেসে মহম্মদ সেলিম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন সেক্ষেত্রে সেলিম রাজ্য সম্পাদক পদ ছাড়বেন। সেই পরিস্থিতিতে কে নতুন সম্পাদক হবেন, তা নতুন রাজ্য কমিটি ঠিক করবে। এই কারণে ডানকুনি সম্মেলন থেকে তৈরি হওয়া নতুন রাজ্য কমিটি আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের একাধিক নেতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
অশোক, অমিয় সহ যে ৮ জন বাদ যাচ্ছেন তাঁদের জায়গায় নতুন জেলা সম্পাদক হয়েছেন এমন কয়েকজনের নাম অফিসিয়াল প্যানেলে রাখা হয়েছে। আজ প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নতুন রাজ্য কমিটির প্যানেল তৈরি করার পাশাপাশি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম ডানকুনি সম্মেলনের পরে আন্দোলনে জোর দিতে চাইছেন।
তৃণমূল জমানায় একাধিক ইস্যু নিয়ে বামেরা প্রতিবাদ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের ঝাঁজ ধরে রাখতে পারেনি। তৃণমূল জমানার শুরুর দিকে সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যু থেকে সাম্প্রতিক অতীতে আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে বামেরা আন্দোলন শুরু করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সেই অভিজ্ঞতার থেকে নাছোড়বান্দা মনোভাব নিয়ে কোনও আন্দোলনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। ডানকুনিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ দিন বলেন, ‘আমরা প্রজেক্ট ভিত্তিক মিশন মোডে আন্দোলন করতে চাই।’