নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মোজার ভিতরে কার্বন পেপারে মুড়িয়ে সেলোটেপ দিয়ে সেঁটে সোনা পাচারের চেষ্টা করছিল এক পাচারকারী। তবে বিহারে পাচার করার আগেই সোনার বিস্কুট সহ নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হল ওই পাচারকারী।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম শ্রবণ কুমার। বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙা জেলায়। অসম থেকে সোনা বিহারে পাচার হবে বলে খবর পায় এনজেপি থানার পুলিস। এরপর ফুলবাড়ির ব্যাটালিয়ন মোড়ে ওত পেতে বসে থাকে পুলিসের একটি টিম। সেখানে গাড়ি ধরার জন্য আসে শ্রবণ। পুলিস তাকে আটক করে তল্লাশি চালালে প্রথমটায় কিছুই পায়নি। পরে জুতো খুলিয়ে মোজায় তল্লাশি চালালে চারটি সোনার বিস্কুট পায়।
উদ্ধার হওয়া একএকটি সোনার বিস্কুটের ওজন ১১৬ গ্রাম। মোট ওজন ৪৬৪ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমুল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। এরপর ধৃতকে গ্রেপ্তার করে এনজেপি থানায় নিয়ে আসা হয়। বিহারের পাচারের আগে শিলিগুড়িতে কোথাও ওই সোনার বিস্কুট হাতবদলের পরিকল্পনা ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতের তোলা হবে।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, আমরা সোনা সহ এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। সোনা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল বা ওই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত পাচারকারী অসম থেকে ফালাকাটায় আসে। সেখানেই সোনার বিস্কুটগুলি পায়ের মোজার ভিতরে বেঁধে নেয়। যেহেতু কার্বন পেপার দিয়ে কিছু বেঁধে রাখা থাকলে তা মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়ে না, সেটা জানত পাচারকারী। সেই কারণেই এমন পন্থা নিয়েছিল সে। যদিও শেষ রক্ষা হল না।
তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, প্রতিনিয়ত অসম থেকে শিলিগুড়ি হয়ে যেহারে সোনা পাচারের ঘটনা ঘটছে তা রীতিমতো পুলিস, কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগেও শিলিগুড়ি দিয়ে এ ধরনের বহু ঘটনা সামনে এসেছে। বিভিন্ন সময়ে কয়েক কোটি টাকার সোনা পাচার রুখে দিয়েছে পুলিস, ডিআরআই। যদিও পুলিসের শীর্ষকর্তাদের দাবি, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ( এই সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র।)