নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: যত্রতত্র পান-গুটখার পিক ফেলা নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, হুঁশ নেই জলপাইগুড়ি পুরসভার। পুরভবনের দোতলায় উঠতেই একেবারে গা ঘিনঘিনে পরিস্থিতি। পান ও গুটখার পিক ফেলে চারদিক এতটাই নোংরা করে রাখা হয়েছে যে, সেখানে দু’দণ্ড দাঁড়ানোর উপায় নেই। চেয়ারপার্সন কিংবা ভাইস চেয়ারম্যানের সামনেই কর্মীদের একাংশ সেখানে হামেশাই পানের পিক ফেলছেন। তাঁদের দেখাদেখি পুরসভায় বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসা মানুষজনও পুরভবনের ভিতরে দেওয়ালের গায়ে স্বচ্ছন্দে থুতু থেকে পানের পিক সবই ফেলছেন। এরই জেরে অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে যে, কার্যত ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে জায়গাটি।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যেখানে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাস্তাঘাটে যত্রতত্র পান-গুটখার পিক কিংবা থুতু ফেলা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এমনকী এ ব্যাপারে কোনও কড়া আইন আনা যায় কি না, তা দেখার জন্য মুখ্যসচিবকে কড়া নির্দেশ দিচ্ছেন। সেখানে তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরভবনের ভিতরের চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এনিয়ে সোমবার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি। অফিসের ভিতরে যাতে কেউ যত্রতত্র পান-গুটখার পিক না ফেলেন, তা দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে জরিমানা চালুর পথে হাঁটব আমরা।
যদিও পুরকর্মীদের অনেকেই বলছেন, মুখে বললেও পুরভবনে পান-গুটখার পিক ফেলা বন্ধ করা মোটেই সহজ হবে না। এর আগে নোটিস টাঙানো হয়েছিল। দু’দিনেই সেই নোটিস ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।