ট্রলির মধ্যে টুকরো করে কাটা ছিল মেয়ের পিসি শাশুড়ির দেহ। প্ল্যান ছিল, সকাল সকাল সেই টুকরোগুলি ট্রলি ব্যাগের মধ্যে ভরে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়া। কিন্তু এই ‘পার্ফেক্ট প্ল্যান’-এ বাধ সাধেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা। কুমোরটুলি ঘাটে দেহ উদ্ধার কাণ্ডে প্রকাশ্যে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে আরতি ঘোষ ওই দেহের টুকরো ভর্তি ট্রলি ব্যাগ বয়ে এনেছিল কুমোরটুলির ঘাটে তাদের বাড়ি মধ্যমগ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাক্সিতে করে দেহ কুমোরটুলি ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিল।
মা এবং মেয়ের পরিকল্পনা ছিল, সকালের দিকে সকলের চোখ এড়িয়ে ওই ব্যাগ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া। কিন্তু, কুমোরটুলি ঘাট ভোর থেকেই জনবহুল থাকে। প্রাতঃভ্রমণকারীদের চোখে পড়ে যায় ওই মা এবং মেয়ে। তাদের হাবেভাবে সন্দেহ হয় ঘাটে থাকা অন্যান্যদের। ট্রলি খুলে ভেতরে কী আছে তা দেখানোর কথা বললে বেঁকে বসে ফাল্গুনী এবং আরতি। আর এতেই সাধারণ মানুষের সন্দেহ বাড়ে। একপ্রকাশ জোর করেই তাঁরা ট্রলি খুলে এক মহিলার টুকরো করা দেহ দেখতে পান। ঘটনায় ফাল্গুনী এবং আরতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই দেহ কার? পুলিশি জেরায় ফাল্গুনী জানিয়েছে, ট্রলিতে থাকা দেহটি তার পিসি শাশুড়ি সুস্মিতা ঘোষের। কেন তাঁকে খুন করা হলো? নেপথ্যে কি সাংসারিক অশান্তি? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই ওই দেহের টুকরোগুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ফাল্গুনী এবং আরতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। কুমোরটুলি ঘাটে উপস্থিত প্রাতঃভ্রমণকারীদের দাবি ছিল, এই দুই মহিলাদের সঙ্গে এক ব্যক্তিও ছিল। যে অশান্তির সময় পালিয়ে গিয়েছিল। এই দাবির সত্যতাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানাচ্ছে, ওই মহিলার গোড়ালি বঁটি দিয়ে কেটে ট্রলিব্যাগে ঢোকানো হয়েছিল। থেঁতলে ফেলা হয় মুখও।