• জামাইয়ের ঘুসি, মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু শ্বশুরের, চাঞ্চল্য পানিহাটিতে
    এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, ঘোলা: শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের খবর পেয়ে তা মেটাতে গিয়েছিলেন বাবা। সেখানে জামাইয়ের মারে মৃত্যু হলো শ্বশুরের! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটিতে। খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন নিজেকে পশু চিকিৎসক বলে পরিচয় দেওয়া অভিযুক্ত জামাই।

    নিহতের নাম অলোক মুখোপাধ্যায় (৫২)। বাড়ি আগরপাড়া সাধুরবাগানে। মিনিট দশেকের দূরত্বে আগরপাড়া ২ নম্বর আজাদহিন্দ নগরের বাসিন্দা সৈকত বসুর সঙ্গে বছর চারেক আগে বিয়ে হয় তাঁর মেয়ে অয়ন্তিকার।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেম করে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। অয়ন্তিকা পেশায় আইটি কর্মী। অভিযোগ, প্রায়ই তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন সৈকত।

    রবিবার রাতেও দু’জনের মধ্যে অশান্তি বাধে। অয়ন্তিকাকে তাঁর স্বামী ব্যাপক মারধর করেন। রাতেই নির্যাতনের কথা ফোনে বাবাকে জানান অয়ন্তিকা। শুনে রাতেই স্ত্রীকে নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান অলোক। কিন্তু ঝামেলা মেটা তো দূরের কথা, উল্টে শ্বশুর–শাশুড়িকে দেখে সৈকতের গলার আওয়াজ আরও বেড়ে যায়। অকথ্য ভাষায় তাঁদের গালিগালাজ করেন ওই যুবক।

    এর পরেই মদ্যপ অবস্থায় শ্বশুরকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন সৈকত। তাঁর বুকে ঘুসি মারা হয় বলে অভিযোগ। নিরুপায় হয়ে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে যান অলোক। কিন্তু রাস্তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে যান তিনি।

    তড়িঘড়ি প্র‍থমে তাঁকে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে কামারহাটি রথতলা সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা অলোককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    ঘটনার পর নিজের স্বামীর নামে ঘোলা থানায় বাবাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন অয়ন্তিকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে তাঁর মারে শ্বশুরের মৃত্যুর খবর জেনেও চুপচাপ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন সৈকত। ঘোলা থানার পুলিশ সোমবার সকালে অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জেনেছে, যে পশু চিকিৎসক পরিচয় এতদিন সৈকত দিতেন, সেটিও ভুয়ো৷ পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

  • Link to this news (এই সময়)