• নামছে জল, মাথায় হাত উদয়নারায়ণপুরের বিপন্ন চাষিদের
    এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, উদয়নারায়ণপুর: ডিভিসি থেকে ছাড়া জলে বেহাল দশা উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের। রবিবার ছাড়া জলের তোড়ে ভেঙে যায় মুণ্ডেশ্বরী নদীর বাঁধ। জলপ্লাবিত হয় হুগলির চাষের জমি। সেই জল এ বার হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ব্লক এলাকার পাঁচারুল ও মানশ্রী–সহ একাধিক জায়গায় ঢুকে পড়েছে।

    সেই জলে বাড়িঘর বা রাস্তাঘাট তেমন আক্রান্ত না হলেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষের। বিশেষ করে, আলুচাষিদের মাথায় হাত। কী ভাবে এই বিপুল আর্থিক ক্ষতির ফাঁস থেকে তাঁরা বেরিয়ে আসবেন, তা বুঝতে পারছেন না।

    উদয়নারায়ণপুরে আলু বরাবর এক কার্যকরী ফসল। এ বারও বন্যা–সহ নানা কারণে আলু চাষে বিলম্ব হয়েছিল। তার পরেও চাষিদের আশা ছিল, দেরিতে আলুর বীজ রোপন করা হলেও ফলন খুব খারাপ হবে না। কিন্তু ডিভিসি থেকে ছাড়া জল যে ভাবে জমিতে ঢুকে পড়েছে, তাতে সার্বিক ছবিই বদলে গিয়েছে।

    প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ওই সব এলাকার প্রায় সাতশো বিঘে জমির আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছু জমিতে এখনও তিন ফুটের উপরে জল জমে রয়েছে। তবে সোমবার ধীরে ধীরে জল নামতে শুরু করলেও পরিস্থিতি মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। জলের নীচে থাকা আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ চাষি ঋণ নিয়ে আলুর চাষ শুরু করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কী ভাবে সেই ঋণ শোধ করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না।

    সেচ দপ্তর সূত্রের খবর, রবিবার যে পরিমাণ জল ছিল, তা ক্রমশ অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা মজা দামোদরের দিকে নেমে যাচ্ছে। সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এর পরেও সেচের জন্য যদি ডিভিসি জল ছাড়ে, তাতে যাতে কোনও অবস্থায় চাষের জমির ক্ষতি না–করতে পারে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    বাঁধের যে সমস্ত অংশগুলি দুর্বল ছিল, তা মেরামত করার কাজও শুরু হয়েছে। উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক মানস কুমার মণ্ডল বলেন, ‘কতটা ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব শুরু হয়েছে। মহকুমা প্রশাসন চাষিদের পাশেই রয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)