এই সময়, জলপাইগুড়ি: সিমকাণ্ডের জাল কেবল রাজ্যে নয়, ছড়িয়েছে রাজ্যের বাইরেও। জলপাইগুড়ি থেকে ইস্যু করা সিম ব্যবহার করে দিল্লির এক বাসিন্দাকে অনলাইন প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সমীর আহমেদকে মাথায় রেখে স্পেশাল তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ।
সিমকাণ্ডে রবিবার জেলার তিন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করার পর সোমবার এই সিট গঠনের কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার খন্ডবাহালে উমেশ গণপত। তিনি বলেন, ‘তদন্তের প্রয়োজনে এই টিমকে ভিন রাজ্যেও পাঠানো হবে।’
সিম জালিয়াতিতে এ বার ভিন রাজ্যের প্রতারণার ঘটনা ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে দিল্লির বাসিন্দা রূপেশকুমার ঠাকুর নামে এক ব্যক্তি সাউথ ইস্ট দিল্লির সাইবার পুলিশ স্টেশনে অনলাইন প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনার তদন্তে উঠে আসে জলপাইগুড়ি নাম।
পুলিশ জানিয়েছে, যে নম্বর ব্যবহার করে রূপেশকে আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছে, সেই সিমটি জলপাইগুড়ির একটি দোকান থেকে মালবাজারের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কার নামে ইস্যু করা হয়েছে। পরে সেই সিম চলে যায় দিল্লিতে। ওই সিম ব্যবহার করেই অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাপিশ করে দেওয়া হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা নামে ওই মহিলাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, ওই মহিলার খোঁজ পেলেই অনেক তথ্য সামনে আসবে।
এ দিকে সিম জালিয়াতির ঘটনায় ধৃত অর্ণব দত্ত, নরেন্দ্র ঠাকুর এবং সুনীল প্রসাদকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদের পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা কাগজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ব্যবসায়ীরা কী ভাবে ওই জাল সিমকার্ড কলকাতায় বিভিন্ন কলসেন্টারে পাঠিয়েছে সেই রুট চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।
এই সিমকাণ্ডের জাল কতদূর বিস্তৃত তা জানতেই সিট গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত পুলিশ পাঁচ মামলা দায়ের করেছে। যেহেতু এই জাল ভিন রাজ্যেও ছড়িয়ে আছে, তাই সিট গঠন করা হয়েছে। দিল্লির ঘটনা সামনে আসায় সেখানে দল পাঠানো হবে।’