• যখন তখন ডাকাত পড়ার গুজব, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের
    আজকাল | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আতঙ্কে ঘুম উড়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে সুতি পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দাদের। রোজ রাতেই নাকি ডাকাত পরছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এই প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে। আর এই ডাকাতদলকে ধরতে রোজ রাতে লাঠি সোঁটা নিয়ে পালা করে জাগছেন গ্রামের যুবক থেকে মহিলারা পর্যন্ত। এরই মধ্যে চোর এবং ডাকাত সন্দেহে কয়েকজন নিরীহ মানুষকে অকারণে মারধরের মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। তবে সমস্ত ক্ষেত্রেই পুলিশ সময়মতো হস্তক্ষেপ করায় বড় কোনও অঘটন ঘটেনি। 

    জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান,'ইতিমধ্যে এই রকম দুটি ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে। গ্রামগুলিতে আমরা 'আরজি পার্টি' তৈরি করে দিয়েছি। কে বা কারা এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।' যেসমস্ত গ্রামগুলিতে ডাকাত পড়েছিল বলে গুজব ছড়িয়েছে সেখানে কোনও ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি বলেও পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,গত বেশ কয়েকদিন ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার বীরভূম সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামের স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

    রাতের অন্ধকারে কোনও দুষ্কৃতী দল গাড়ি করে বের হচ্ছে এবং বীরভূম বা মুর্শিদাবাদ জেলার কোনও এলাকায় ফাঁকা বাড়ি বা কোনও ব্যক্তিকে একা যেতে দেখলে লুটপাট চালাচ্ছে। এই ধরনের গুজবের জেরে অস্থির হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসীরা। আতঙ্কে গত বেশ কয়েকদিন ধরে রাত জাগছেন বীরভূম সংলগ্ন মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ। সূত্রের খবর, ডাকাত পড়ার আতঙ্ক ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের বংশবাটী , আইলের উপর,বাড়ালা ,নাজিরপুর মির্জাপুর-সহ আরও বেশ কিছু গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। 

    এই সমস্ত গ্রামগুলির বাসিন্দারা জানিয়েছেন , গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যে নামলেই কেউ বা কারা গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা গ্রামে গাড়ি নিয়ে ঢুকেছে। এরপরই নাকি গ্রামবাসীরা কোনও খোঁজ না নিয়েই নেমে পড়ছেন সেই ডাকাত দল ধরার জন্য। সুমিতা দাস নাম সুতি থানা এলাকার এক বাসিন্দা জানান ,'কিছু গ্রামবাসীর অতি সক্রিয়তার জন্য অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন অনেক মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যের  পর অন্য গ্রামে কাজে যাওয়া কিছু মানুষকে 'ডাকাত' সন্দেহে অকারণে হেনস্থা পর্যন্ত করা হয়েছে।'

    তবে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকরা জানান , এই গুজব আপাতত কয়েকটি গ্রামে স্থানীয় মানুষদের মুখে মুখেই ছড়াচ্ছে। সমাজমাধ্যমে এই গুজবের তেমন কোনও প্রতিফলন আমাদের নজরে আসেনি। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন কে বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তবে অনেক গ্রামবাসীর  আশঙ্কা যেভাবে এক শ্রেণীর মানুষ ভুয়ো গুজব রটিয়ে পুলিশ এবং সাধারণ মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে তাতে সত্যিই যদি গ্রামে বড় কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটে যায় সেদিন হয়তো অনেককেই পাওয়া যাবে না।
  • Link to this news (আজকাল)