আজকাল ওয়েবডেস্ক: কয়েকঘণ্টাতেই বদলে গেল বয়ান। নীল ট্রলির ভিতরে আদতে পোষ্যর দেহ নয়, রয়েছে পিসিশাশুড়ির মুণ্ডহীন দেহ। মঙ্গলবার সকালে কুমোরটুলি ঘাটের ঘটনায় বড় মোড় বেলা বাড়তেই। স্পষ্ট হল, স্থানীয়রা প্রথম থেকে যে দাবী করছিলেন, তা আসলে ঠিক।
মঙ্গলবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় কুমোরটুলি ঘাটে। স্থানীয়রা আচমকা লক্ষ করেন সাতসকালে দুই মহিলা ট্রলি নিয়ে যাচ্ছেন ঘাটের দিকে। দেখেই আন্দাজ হয়েছিল ট্রলি ভারী। সঙ্গে সঙ্গে দু’ জনকে পাকড়াও করতেই ট্রলি থেকে দুর্গন্ধ পান বলেও অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ তৎক্ষণাৎ ট্রলি আটক করে, সঙ্গে দুই মহিলাকেও। প্রাথমিকভাবে দু’ জনে জানিয়েছিলেন, বাড়র পোষ্যর দেহ ভরা ট্রলিতে।
তবে কয়েকঘণ্টাতেই বদলে গেল বয়ান। সূত্রের খবর, জেরায় ফাল্গুনি ঘোষ জানিয়েছেন ট্রলিতে রয়েছে সুমিতা ঘোষের দেহ। তিনি সম্পর্কে ফাল্গুনির পিসিশাশুড়ি। উল্লেখ্য, কুমোরটুলি থেকে ফাল্গুনির সঙ্গেই আটক হয়েছে তাঁর মা আরতি ঘোষও।
জানা গিয়েছে ফাল্গুনি এবং আরতি, দু’ জনেই মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে ওই দুই মহিলা একটি ট্যাক্সিতে চেপেই পৌঁছন কুমোরটুলি ঘাটে। ওই ট্যাক্সির চালক জানিয়েছেন, দুই মহিলা কুমোরটুলি যাওয়ার আগে গিয়েছিলেন প্রিন্সেপ ঘাটেও।