• উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন মা-মেয়ে! কুমোরটুলি-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই বিস্ফোরক পড়শিরা
    আজকাল | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কুমোরটুলিতে ট্রলি ব্যাগে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে দু'জনকে। আরতি ঘোষ ও ফাল্গুনী ঘোষ মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লি এলাকার বাসিন্দা। সংবাদমাধ্যমে কুমোরটুলির ঘটনা জানাজানি হতেই মুখ খোলেন পড়শিরা। মা ও মেয়ের উশৃঙ্খল জীবনযাত্রায় তাঁরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বলে অভিযোগ। 

    মঙ্গলবার সকালে কলকাতার কুমারটুলি এলাকায় ট্রলি ব্যাগে করে দেহ ফেলতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন মা আরতি ঘোষ ও মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ। তাঁরা দু'জনে গত আড়াই বছর ধরে মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লি এলাকায় ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। সংবাদমাধ্যমে এদিন কুমারটুলির ঘটনা দেখানোর পরেই বীরেশপল্লির বাসিন্দারা মুখ খোলেন। তাঁরা জানান, মা ও মেয়ে বেলাগাম জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত ছিলেন। প্রায়ই রাতের দিকে অপরিচিত যুবকরা ওই বাড়িতে যাতায়াত করত বলে পড়শিদের অভিযোগ। আরও অভিযোগ, গভীর রাত পর্যন্ত ওই বাড়িতে মধুচক্র চলত। তাঁরা পুরসভাকেও ঘটনাটি জানিয়েছিলেন। 

    বাসিন্দাদের অভিযোগ পাওয়ার পর মধ্যমগ্রাম পুরসভার উপপ্রধান প্রকাশ রাহা পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হন। তখন ফাল্গুনী ও আরতি প্রকাশ্যে প্রকাশকে গালিগালাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। ওই ভাড়াবাড়ির মালিক কলকাতায় বাস করেন। উপপুরপ্রধান বাড়ির মালিককেও বিষয়টি জানিয়েছিলেন। দিনকয়েক আগে ওই বাড়িতে এক মহিলাকে যাতায়াত করতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, তাঁর নাম সুমিতা ঘোষ। সম্পর্কে তিনি ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কুমোরটুলিতে ট্রলি ব্যাগে উদ্ধার হওয়া দেহটি সুমিতার। মা-মেয়ে দু'জন মিলে তাঁকে খুন করেছেন। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ভারতী ও  ফাল্গুনী একটি ট্রলি ব্যাগে সুমিতার দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে বীরেশপল্লি থেকে একটি ভ্যানে চেপে তারা প্রথমে মধ্যমগ্রাম দোলতলায় যান। সেখান থেকে একটি গাড়ি করে কাজিপাড়া রেলস্টেশনে যান। কাজিপাড়া থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। প্রথমে প্রিন্সেপঘাটে তাঁরা দেহভর্তি ট্রলি গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অনুকূল পরিবেশ না পাওয়ায় মা ও মেয়ে কুমারটুলিতে চলে যান। গঙ্গার ঘাটে ট্রলিটি ফেলার সময় দু'জন স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যান। 

    বারাসতের এসডিপিও বিদ্যাসাগর আজিঙ্কা মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লি এলাকায় ওই ভাড়া বাড়িতে গিয়েছেন। বাড়িটি তালাবন্ধ রয়েছে। বাড়ির মালিককে পুলিশ ডেকে পাঠিয়েছে। এসডিপিও বলেন, 'অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।'
  • Link to this news (আজকাল)