অয়ন ঘোষাল: সাতসকালে আহিরীটোলায় উদ্ধার ট্রলি ব্যাগবন্দি মহিলার দেহ। ঘটনার তদন্তে পরতে পরতে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মাথায় ভারী ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু। তারপর দেহ গায়েব করার চেষ্টা। গতকাল রাতেই খুন করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, খুনের পর দেহ নিয়ে বেরিয়ে শহরের দিকে আসে। পারিবারিক কোনও অশান্তির জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
দুই মহিলাই সবটা করেছে নাকি আরও কেউ জড়িত? ধৃত দুই জনকে টানা জেরা করে জানার চেষ্টায় পুলিস। কলকাতা পুলিস ইতোমধ্য়েই মধ্যমগ্রাম থানার সঙ্গে যোগযোগ করছে। পিসি শাশুড়ির সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে কোনও একটা বিষয়ে বিবাদ চলছিল। বিবাদ চরমে ওঠায় রাগের মাথায় খুন বলেই অনুমান করা হচ্ছে। খুনের পর ঠান্ডা মাথায় দেহ লোপাটের পরিকল্পনা।
অন্যদিকে জানা গিয়েছিল, মহিলার দেহকে ৩ টুকরো করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিসের দাবি, মহিলার দেহ টুকরো করা হয়নি। ডিজি প্রেস কনফারেন্স জানান, মহিলার দেহ ব্যাগে ঢোকানোর জন্য পা কাটা হয়। পা কেটে মহিলার দেহ দুমড়ে মুচড়ে ঢোকানো হয়।
উল্লেখ্য, আটক দুই মহিলা সম্পর্কে মা-মেয়ে। খুব সম্ভবত তারা বারাসাতের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। আটক ২ মহিলা ফাল্গুনী ঘোষ এবং আরতি ঘোষ। সম্পর্কে আরতি ঘোষের মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ। অন্যদিকে মধ্যমগ্রামে এক ভাড়া বাড়িতে থাকতেন নিহত মহিলা। সেখানেই তাকে খুন করা হয় বলে অনুমান। মধ্যমগ্রাম থেকে ট্যাক্সি করে তার দেহ আনা হয়। ঘটনার তদন্তে নর্থ পোর্ট থানা। পুলিসি জেরায় প্রথমে ধৃতরা দাবি করে যে, নিহত মহিলা তাদের এক আত্মীয়। মৃত মহিলা ফাল্গুনী ঘোষের পিসি শাশুড়ি। গায়ে আগুন দিয়ে তিনি আত্মঘাতী বলে আটক মহিলাদের দাবি। মৃত মহিলার নাম সুমিতা ঘোষ। তিনি মধ্যমগ্রামের বিদেশ পল্লীর বাসিন্দা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই দুই দীর্ঘক্ষণ ক্যাবে দেহ নিয়ে শহরের একাধিক ঘাটে ঘোরে। শেষ পর্যন্ত তারা আহিরীটোলা ঘাট বেছে নেয়। এই ঘাট দুটি থানার বর্ডার এলাকা। শ্যামপুকুর এবং নর্থ পোর্ট থানা। ক্যাবে দেহ আনার পর ধরা পড়ে যাওয়ায় মা-মেয়ে লাগাতার বলতে থাকে ভিতরে কুকুরের দেহ আছে।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News