নিরুফা খাতুন: নতুন বছরে আলিপুর চিড়িয়াখানায় জিরাফের পরিবারে এসেছে নতুন সদস্য। গতকাল, সোমবার আলিপুরে এক জিরাফ ফুটফুটে একটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। নয়া সদস্যকে নিয়ে জিরাফের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-এ। বংশবৃদ্ধি হলেও জিরাফের উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত আলিপুর কর্তৃপক্ষ। কারণ, একই পরিবারের সঙ্গে প্রজননে জিরাফের উচ্চতা কমতে চলেছে। জিনগত সমস্যা ও উচ্চতা বজার রাখতে নয়া জিরাফের খোঁজ চলছে বলে আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর।
দেশের চিডিয়াখানাগুলির মধ্যে সর্বাধিক জিরাফ রয়েছে আলিপুরে। অন্য আবাসকিদের তুলনায় এদের পরিবারও ক্রমশ বাড়ছে। পশুপাখির বিনিময় প্রথার ক্ষেত্রে ভিন রাজ্যের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের প্রথম পছন্দ থাকে আলিপুরের জিরাফ। তাই জিরাফকে দিয়ে আলিপুরে নয়া নয়া সদস্য নিয়ে এসে থাকে। ওড়িশার নন্দনকানন থেকে গত বছর বাঘ-সহ একাধিক অতিথি এসেছিল আলিপুর। পরিবর্তে এখান থেকে তাদের দুটি জিরাফ পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া নিউটাউন হরিণালয়ে যে দুটি জিরাফ রয়েছে তারাও আলিপুর থেকে গিয়েছে। এক সময় জিরাফের পরিবার অনেক বড় ছিল। বিনিময় করতে করতে এই সংখ্যা কমে নয়ে এসে দাঁড়ায়। তিনটি পুরুষ ও ছয়টি স্ত্রী জিরাফ। সদ্যোজাতকে নিয়ে জিরাফকুল বেড়ে হল দশ। সদ্যোজাত মা এখন নয়া শাবকে আগলে রেখেছেন। আলিপুর চিডি়য়াখানা সূত্রে খবর, সদ্যজাত মা ও বাচ্চা দুজনেই সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসকদের নজর সব সময় তাদের উপর রয়েছে।
১৯৮৬ সালে জার্মান থেকে দু জোড়া জিরাফ নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদেরই বংশধর তৃণা মুনিয়া, লক্ষ্মী, বিথির, বুবলি, মঙ্গল। এদের অনেক ভাই বোন ভিন রাজ্যেও রয়েছে। আলিপুর চিড়িয়াখানার এক আধিকারিক জানান, অন্য রাজ্যের চিড়িয়াখানাতেও জিরাফ রয়েছে। তবে আলিপুরের মত এত সংখ্যক নেই। কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে একই পরিবারের মধ্যে বংশোবৃদ্ধি। ফলে জিনাগত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। উচ্চতাও কমতে থাকছে। সাধারণত একটি পুরুষ জিরাফের সর্বাধিক উচ্চতা থাকে ১৪ থেকে ১৫ ফুট। স্ত্রী জিরাফের উচ্চতা তুলনামূলক কম থাকে। বছরের পর বছর একই জিনের সঙ্গে প্রজনন ঘটায় আলিপুরে জিরাফের উচ্চতা কিছুটা কমে যাচ্ছে। তাই নতুন জিরাফ নিয়ে এসে প্রজানন করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।