‘চা–বাগান নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে কিছু ভূতুড়ে দল’, তোপ দাগলেন মমতা
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
একদিকে চা–বাগানের উন্নয়ন, শ্রমিকদের স্বার্থ এবং অপরদিকে চা–বাগান এলাকায় পর্যটনের প্রসার। এই নীতি নিয়েই চলছে রাজ্য সরকার। চা–বাগানে যেখানে চা উৎপন্ন হয় সেই জমির সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না বলে আজ, মঙ্গলবার নবান্ন থেকে সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যে চা–বাগান এলাকায় চা উৎপন্ন হয় না সেই জমিতে পর্যটনের ভাবনা আছে। উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের উন্নতি ঘটাতে বড় পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে এখানে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলেই এটা জানাতে হল বলে দাবি তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রী বারবার চা–বাগানের শ্রমিকদের কাছে ছুটে গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ গেলেই দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে নানা কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর চা–বাগান মালিকদের সুবিধার দিকেও তাকিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে। তার সঙ্গে আছে ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল। বলা হচ্ছে চা–বাগানের জমিতে পর্যটন হবে। এটা একেবারেই নয়। চা–বাগানের জমি রাজ্য সরকারের। তা লিজ দেওয়া হয়। চা–পাতা যেখানে উৎপন্ন হয় সেই জমির সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। যেখানে চা–পাতা উৎপন্ন হয় না সেটা দেওয়া হবে হোটেল, রিসর্ট অথবা হোম স্টে করার জন্য। আগামী তিন বছরের জন্য ৬টি ধুঁকতে থাকা চা–বাগান লিজে দেওয়া হচ্ছে। যাতে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারে। চা পর্যটনে এবং কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্যও পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’
চা–বাগানের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা আলাদা টান আছে। সেটা দেখা যায়, যখন তিনি উত্তরবঙ্গে যান এবং চা–বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে পাতা তোলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জেনে নেন সমস্যা কোথায় আছে। আজ এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘উত্তরবঙ্গের ৬টি ধুঁকতে থাকা চা–বাগান লিজে দেওয়া হচ্ছে। এই বাগানগুলির কর্মীরা বেতন পাচ্ছিলেন না। সেই বাগানগুলি তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে। যাতে মালিকরা সঠিক সময়ে বেতন দিতে পারেন। যদি তাঁরা সফলভাবে চালাতে পারেন, কর্মীদের বেতন দিতে পারেন, ঠিকমতো প্রভিডেন্ট ফান্ড–গ্র্যাচুইটি দিতে পারেন তাহলে বাগানগুলি ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে।’
এছাড়া যে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে চা–বাগানের জমি নিয়ে সে বিষয়েও নিজের ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি নিয়ে নিতে আইনে বদল ঘটানো হচ্ছে বলে প্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এসবের পিছনে রাজনৈতিক দল আছে বলেও তাঁর দাবি। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘কিছু ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল এই মিথ্যে প্রচার করছে। চা–বাগানের জমির আইনে কোনও বদল আনা হচ্ছে না। কোনও চা–বাগানে যদি উদ্বৃত্ত জমি থাকে তবে সেই জমিতেই বাণিজ্যিক কাজকর্ম করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আর একসঙ্গে ৩০ একর জমি কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।’