মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কুমোরটুলি ঘাট থেকে ট্রলি ভর্তি কাটা দেহ-সহ দুই মহিলার গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় কলকাতা পুলিশের কমিশনার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কিছু ‘ডিসপিউট’ ছিল। পুলিশ সেগুলি তদন্ত শুরু করেছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন সিপি মনোজ ভার্মা। ধৃত আরতি ঘোষ এবং ফাল্গুনী ঘোষ সম্পর্কে মা-মেয়ে। মৃত সুস্মিতা ঘোষ (৫৫) ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ি, পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
সিপি বলেছেন, ‘ট্রলিতে মহিলার দেহ পাওয়া গিয়েছে। ট্যাক্সি ভাড়া করে দেহ নিয়ে এসেছিলেন ফাল্গুনী এবং আরতি ঘোষ। কিছু ডিসপিউট ছিল। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রাথমিক তদন্তে যে সব প্রশ্ন উঠে এসেছে, সেগুলি হলো:
১) কখন খুন হন সুমিতা ঘোষ?
এক্ষেত্রে পুলিশের বক্তব্য, ফাল্গুনীর বয়ানে সোমবার অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল চারটের আশপাশে। যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সুমিতা খুন হয়েছেন রবিবার।
২) কেন ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফাল্গুনীর ভাড়া বাড়িতে ছিলেন সুমিতা?
আপাতত এই প্রশ্নের কোনও উত্তর পায়নি পুলিশ।
৩) প্ল্যান করেই কি তাঁকে ডেকে আনা হয়েছিল?
এই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
৪) দুই মহিলার পক্ষে কি সুমিতাকে এ ভাবে খুন করে পায়ের গোড়ালি কেটে ট্রলি ব্যাগে প্যাক করা সম্ভব? নাকি অন্য কেউ সাহায্য করেছিল?
ধৃত ২ মহিলাকে জেরা করে এর উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
৫) মধ্যমগ্রামে ফাল্গুনীদের বাড়িতে অপরিচিত ছেলেমেয়েদের আনাগোনা লেগে থাকত কেন? এমন কোনও তথ্য সুমিতা জেনে ফেলেছিলেন, যার জন্য খুন?
প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে পুলিশের তরফে।
৬) পিসি শাশুড়ির সম্পত্তি এবং ব্যাঙ্কের লকারে গচ্ছিত গয়না হাতানোর উদ্দেশ্যেই কি খুন?
ধৃত ২ মহিলাকে জেরা করেই এর উত্তর মিলবে বলে বিশ্বাস তদন্তকারীদের।
৭) মৃতার দেহের কোথায় আঘাত?
পুলিশ জানিয়েছে, গলার ডানদিকে, দুই হাতের বাহু এবং কব্জিতে, গভীর ক্ষত মাথার ডান অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুলির ভিতরেও রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। মৃত্যুর পরে দুই পায়ের গোড়ালির অংশ কাটা হয়। ময়নাতদন্তের ৪৮ ঘন্টা আগে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।