ট্যাংরা-কাণ্ডে নতুন মোড়, পুলিশি তদন্তে উঠে এল একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য...
আজকাল | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্যাংরায় অভিজাত পরিবারে এক কিশোরী-সহ দুই মহিলার 'খুন'-এর ঘটনায় উঠে এল নতুন তথ্য। পুলিশের অভিযোগ, হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই পুলিশকে তদন্তে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন দুই ভাই প্রণয় দে এবং প্রসূন দে। সোমবার রাতে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে দুই ভাই-সহ প্রনয়ের নাবালক পুত্রকেও। তবে ট্যাংরা-কাণ্ডে দুই ভাইকে এখনই পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না। পুলিশ সূত্রে খবর, ডাক্তার অনুমতি না দিলে অর্থাৎ হাসপাতাল থেকে ছুটি না দেওয়া পর্যন্ত তাঁদের কোনও ভাবেই গ্রেপ্তার করা যাবে না।
লালবাজার পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে একাধিকবার দুই ভাই প্রণয় এবং প্রসুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরিষ্কারভাবে তাঁদের থেকে কোনও উত্তরই পাওয়া যাচ্ছে না। যখনই তাঁদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেসা করা হচ্ছে তখনই ছোট ভাই বড় ভাইয়ের দিকে, আবার বড় ভাই ছোট ভাইয়কে দোষারোপ করছেন। দু'জনের কথায় কোনও সঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। তবে, নাবালকের কথায় কিছু ধোঁয়াশা কাটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই মৃত্যুর পরিকল্পনা চলছিল ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই। দুই ভাইয়ের বয়ান অনুযায়ী, তাঁরা পায়েসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ বা বিষ জাতীয় কোনও জিনিস খেয়ে নিজেদের শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে। এরপরেই তাঁরা নিজেদের শেষ করতে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। তবে, বড় ভাই প্রণয়ের হাতে বোতলের মতো বস্তুটি কি ছিল তার সদুত্তর এখনও পুলিশ দিতে পারেনি। পূর্বেও আত্মহত্যার চেষ্টা তাঁরা করেছিলেন, কিন্তু সেই কাজে সফল হননি বলেই জানা গিয়েছে।
নাবালিকার মুখ দিয়ে যে গ্যাঁজলা বা একটা তরল পদার্থ ফেনা আকারে বেরিয়েছিল তা কী এখনও ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের অনুমান, বিষক্রিয়ার কারণেই শিশুর ওই পরিণতি হয়েছিল। তবে বাড়ির তিন মহিলা সদস্যাদের হত্যা করে যে তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন সে ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত। তবে এই চরম পরিণতির কারণ কী এবং কেন এই পথ বেছে নিয়েছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।