অভিষেক চৌধুরী, কালনা: আহিরিটোলা কাণ্ডে তোলপাড় তিলোত্তমা। বিষয়টা জানাজানি হতেই দুপুরেই আঁধার নামল পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটে। কারণ, একটা সময় বিয়ে করে ওই গ্রামেই গিয়েছিলেন মৃত সুমিতা ঘোষ। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে পরবর্তীতে বিচ্ছেদ হলেও, প্রাক্তন স্ত্রীর এই পরিণতি হতে পারে ভাবতেও পারেননি সুদীপ্ত ঘোষ। খবর পেয়েই মুষড়ে পড়েছেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা সুদীপ্ত ঘোষ। ২০০৪ সালে তাঁর সঙ্গেই বিয়ে হয়েছিল মৃত সুমিতা ঘোষের। শোনা যায়, প্রথমে সম্পর্কে সুমধুর থাকলেও কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। তবে কর্মসূত্রে সুদীপ্তবাবু বাইরেই থাকতেন বেশিরভাগ সময়। স্ত্রীও শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন না খুব একটা। তা সত্ত্বেও দাম্পত্যকলহ লেগেই থাকত। এক পর্যায়ে তা চরমে ওঠে। ২০১৭-১৮ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকে দু’জন দু’প্রান্তে। কেউ আর সেভাবে প্রাক্তনের খোঁজ নেননি। তবে প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটতে পারে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি সুদীপ্ত।
মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টা জানতে পারেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন সুদীপ্ত। সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলতে না চাইলেও তিনি বলেন, “ডিভোর্স হয়েছিল, কিন্ত খারাপ তো লাগবেই।” যদিও বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। তবে শুধু ঘোষ বাড়িতে নয়, এই ঘটনার পর নাদনঘাটের গ্রাম জুড়েই এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। এমনটাও হতে পারে! মানতেই পারছেন না কেউ। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে আহিরিটোলায় স্যুটকেসে মিলেছে মহিলার টুকরো করা দেহ।