‘ভবিষ্যতে কলকাতা লন্ডনের থেকেও উন্নত হবে’, বাজেট অধিবেশনের শেষ দাবি মেয়রের
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে ছিলেন, কলকাতাকে লন্ডন বানাবেন। তারপর নানা উন্নয়ন যজ্ঞ কলকাতায় শুরু হয়। গোটা বাংলাজুড়ে প্রভূত উন্নয়ন ঘটে। তবু প্রশ্ন থেকে যায়, কলকাতা কি লন্ডন হয়েছে? এগুলি বিরোধীদের তোলা প্রশ্ন। তবে এবার বড় ঘোষণা করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ভবিষ্যতে কলকাতা লন্ডনের থেকেও উন্নত হবে বলে আজ, মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার বাজেট অধিবেশনে দাবি করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের হাত ধরে সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। নীল সাদা রঙ থেকে শুরু করে হাইমাস্ট আলো, উড়ালপুল, রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বাগান নির্মাণ, গাছ লাগানো, গঙ্গা আরতি–সহ নানা উন্নয়ন ঘটেছে। এই আবহে আজ মেয়র বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গই প্রথম প্লাস্টিক রোড নির্মাণ শুরু করে যেটা পরে অন্যান্য পুরসভাগুলিও গ্রহণ করেছে। বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরসভা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৫ হাজার নির্মাণ কাজের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। ৫০০টিরও বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং ১৫০টিরও বেশি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। যাদবপুর থেকে টালিগঞ্জ জলের প্রকল্পের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কলকাতা লন্ডনের থেকেও উন্নত হবে।’
অত্যাধুনিক জলের পাইপ বসেছে কলকাতায়। যাতে শহরবাসী গরমকালে জলকষ্ট না পায়। ক্লাব, থিয়েটার হল, মনীষীদের স্থান, বিনোদন পার্ক, নীল সাদা আলো গড়ে উঠেছে। কিন্তু কলকাতা লন্ডনকে ছাপিয়ে যাবে কেমন করে? তার একটা ধারণা মেয়র দিয়েছেন। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে মেয়র জবাবি ভাষণের বক্তব্য, ‘২০ হাজার আনঅ্যাসেস প্রপার্টিকে অ্যাসেসমেন্টের আওতায় আনার হচ্ছে। কলকাতার অভ্যন্তরে আলাদা কর আরোপ করা হবে না। অ্যাডেড এরিয়ার জন্যও একই কর ব্যবস্থা চালু থাকবে। যেখানে এতদিন নাগরিকদের দুটি কর দিতে হতো। এই নতুন কর ব্যবস্থার প্রস্তাব ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।’
এছাড়া রাস্তা, জল থেকে শুরু করে শহরের পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটেছে। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কৃষি থেকে শিল্প কলকাতা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে বলে মেয়রের দাবি। আরও উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার কতটা এগিয়ে এসেছে সেটা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। করের বোঝা চাপেনি নাগরিকদের উপর। তাঁর কথায়, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যখন বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল, তখন একমাত্র কলকাতা পুরসভা ২৪ ঘণ্টা নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করেছিল।’