• 'ওরা যেটা বলেছে…' ট্যাংরায় কেন খুন? কারা খুনে যুক্ত? বড় ইঙ্গিত পুলিশ কমিশনারের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ট্যাংরার ঘটনায় একেবারে পরতে পরতে রহস্য। ট্যাংরার চিত্ত নিবাসে উদ্ধার করা হয়েছিল দুই মহিলা ও এক কিশোরীর দেহ। অন্যদিকে সেই বাড়িরই তিন সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল অভিষিক্তা মোড়ের কাছে। ধাক্কায় দুমড়ে যাওয়া একটা গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের দেহ। 

    ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, ট্যাংরার বাড়িতে তিনজনকেই খুন করা হয়েছিল। কিন্তু খুনটা করল কে? 

    তবে পুলিশ কিছুটা নিশ্চিত যে, ট্যাংরার দুই বধূ ও এক কিশোরীকে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত দাদা ও ভাই। 

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, এরাই যুক্ত রয়েছে। অন্য় কেউ নয়। ওই যে দুই ভাই তারাই করেছে। হতে পারে কোনও মোটিভ। মনে হচ্ছে ব্যবসা সংক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি। যা প্রমাণ আছে তার ভিত্তিতে বলছি। ওরা যেটা বলেছে তার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছি।

    পুলিশ জানিয়েছে, ওদের বাচ্চাটির দায়িত্ব কেউ নেয়নি। আমরা আইনি পথে সব চেষ্টা করব। 

    তবে আইন অনুসারে ওই কিশোরের দেখভালের প্রয়োজনীয় কাজ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই সঙ্গেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই দে ব্রাদার্সকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও খবর। 

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের কাছে একাধিক তথ্য় এসেছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালেই খুন করা হয়েছিল দুই বধূ ও এক কিশোরীকে। এরপর দুই ভাই বাড়িতেই ছিলেন। 

    অন্য়দিকে সূত্রের খবর, প্রতিবেশীরা আগেই জানিয়েছিলেন সেদিন ওই বাড়ি কার্যত ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। এমনকী সেই সন্ধ্যায় ছাদের ঠাকুর ঘরে কেউ সন্ধ্যারতি করেননি। এরপর রাতের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল গাড়ি নিয়ে গ্য়ারাজ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তিনজন। প্রণয়, প্রসূন ও প্রতীপ। পরে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা। সেখানে আহত তিনজন। 

    বিভিন্ন তথ্য় প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পেরেছে এই খুনের ঘটনায় দুই ভাই যুক্ত রয়েছে। বড় ভাই প্রণয় এনিয়ে পুলিশের কাছে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে খবর। পুলিশকে তিনি এব্যাপারে একাধিক ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে খবর। 

    ভাই প্রসূন সুদেষ্ণা ও প্রসূনের স্ত্রী রোমিকে হাতের শিরা কেটে খুন করেছিল। এমনকী প্রসূন তার ছেলের হাতের শিরাও কাটকে গিয়েছিল। এমনকী ওই কিশোরও কাকার দিকে আঙুল তুলেছে। সব মিলিয়ে একের পর এক তথ্য় উঠে আসছে গোটা ঘটনায়। 

    পুলিশ কমিশনার বলেন, ক্রাইমের পরিপ্রেক্ষিতে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)