• কুমারটুলি কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ, কী জানা গেলো?
    এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • কুমোরটুলি ঘাট থেকে ট্রলি ভর্তি কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেই কুমারটুলির ঘাট থেকে উদ্ধার হয় সুস্মিতা ঘোষের দেহ। এই খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরতি ঘোষ এবং ফাল্গুনী ঘোষকে। তাঁরা সম্পর্কে মা এবং মেয়ে। সুস্মিতা ঘোষ (৫৫) ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রাম বীরেশপল্লী বাড়িতেই সুস্মিতা ঘোষকে খুন করা হয়েছিল বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সেই বাড়িতেই ফাল্গুনীকে নিয়ে আসে কলকাতা পুলিশ এবং ফরেন্সিক টিম।

    পারিবারিক বিবাদের জেরেই ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছিল। তার পরেই তাঁর দেহ পাচার করার ছক করা হয়েছিল। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে  সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।   পুরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি । তার পরে মঙ্গলবার রাতেই ফাল্গুনীকে নিয়ে আসায় হয় বীরেশপল্লী বাড়িতে। সেখানে রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত, চার ঘন্টা ধরে তদন্ত চালানোর পাশাপাশি  ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    কী ভাবে এই খুন করা হয় এবং দেহ গায়েবের পরিকল্পনা করেছিলেন মা এবং মেয়ে তার গোড়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার  বিকাল থেকেই ওই এলাকা ঘিরে রাখে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাতেই কলকাতা পুলিশের গাড়িতে ফাল্গুনী ঘোষকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মা আরতি ঘোষকে  কলকাতা নর্থ পোল থানায় রাখা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা ফাল্গুনীকে  সঙ্গে নিয়ে খুনের পরিকল্পনা, ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র কোথায় ফেলা হয়েছে, মৃতদেহ কীভাবে সরানো হয়েছিল, কোন রাস্তা দিয়ে টলি  করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সবকিছু খতিয়ে দেখছেন। সেখানে পেঁপে গাছের গোড়া থেকে খুনে ব্যবহৃত কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে ঘরে  খুন করা হয়েছিল সেখান থেকেও বেশ কিছু জিনিস সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা।  

    যখন ফাল্গুনীকে নিয়ে আসা হয় তখন সেখানে ভিড় জমান এলাকার লোকজন। বাইরে মোতায়েন করা হয়েছিল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ এবং র‍্যাফ। সেখানে সাক্ষী হিসেবে ঢাকা হয়  প্রতিবেশী ঋতুপর্ণা ঘোষকে ।  তিনি জানিয়েছেন, ঘরের ভিতর থেকে তুলো নিয়ে কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। তবে ঘরের ভিতর থেকে কোনও অস্ত্র উদ্ধার করতে তিনি দেখেননি।  ফাল্গুনীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানা গিয়েছে।  যদিও তদন্তকারী আধিকারিকরা এবং ফাল্গুনী সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে চাননি।

    এই সঙ্গে যে ভ্যানে ট্রলিতে ভ্রে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার চালককে আটক করেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। যে গাড়ি করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো সেই গাড়িচালককেও আটক করেছে পুলিশ।  জানা গিয়েছে, গাড়িচালক মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা হলেও গাড়িটি বাইরের।

  • Link to this news (এই সময়)