• বড়ঞার সর্বশ্রীঘাটে নির্ধারিত সীমানার বাইরে গিয়ে অবাধে বালি, মাটি পাচার
    বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: খাদানের নির্ধারিত সীমানার বাইরে বালি ও মাটি কেটে পাচারের অভিযোগ বহুদিন ধরেই ছিল। এবার ময়ূরাক্ষী নদীর কান্দি মাস্টার প্ল্যানের বাঁধ কেটে মাটি পাচার হয়েছে। বড়ঞা ব্লকের পাঁচথুপি গ্রামের কাছে ময়ূরাক্ষীর সর্বশ্রীঘাটের এঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেচদপ্তর এবং ব্লক ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর এনিয়ে যৌথ তদন্ত শুরু করেছে।


    অভিযুক্ত বালিখাদানের লিজহোল্ডার প্রদীপ আগরওয়াল মঙ্গলবার প্রশাসনিক তদন্তের সময় কোনও কথা বলতে চাননি। পরে ফোনও তোলেননি।


    সর্বশ্রীঘাটের বালি খাদানের সরকারি লিজ পেয়েছেন প্রদীপ আগরওয়াল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ী এত বালি তুলেছেন যে, নির্ধারিত এলাকায় বালি মাসখানেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপর থেকে তিনি প্রকাশ্যে ওই সীমানার বাইরে থেকে অবাধে বালি ও মাটি কেটে পাচার করছেন। এবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প কান্দি মাস্টার প্ল্যানের বাঁধও কেটে ফেলা হয়েছে।


    মঙ্গলবার ওই বালিঘাটে গিয়ে দেখা গেল, ব্লক ভূমিসংস্কার দপ্তর থেকে লাল পতাকা বসিয়ে যে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, ওই ঘাটে তার কোনও চিহ্ন নেই। চারদিকে শুধু ট্রাক্টর ও ডাম্পারের চাকার দাগ। পুরো চত্বরে বালির দেখা মিলছে না। তবে নদীবাঁধ লাগোয়া বিভিন্ন জায়গায় বালি তুলে ও মাটি কেটে খাল করা হয়েছে। কান্দি মাস্টার প্লানের বাঁধ কেটে গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।


    স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ মল্লিক বলেন, এই ব্যবসায়ী এমনভাবে বালি ও মাটি কেটেছে যে, পরিস্থিতি এলাকার বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা এলেই বাঁধে ধস নামবে। তখন পুরো এলাকা বন্যার কবলে পড়বে। পুলিস ও প্রশাসনের নাকের ডগাতেই মাসখানেক ধরে এমন কাজ চলছে। বিএলএলআরও দপ্তর সব দেখেও চুপ রয়েছে।


    পাঁচথুপি গ্রামের বাসিন্দা আজাহার আলি বলেন, বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কেউ নেই। একমাত্র প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু তারাও কোনও কারণে চুপ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেচদপ্তর ও ভূমিসংস্কার দপ্তরের তরফে ওই এলাকায় তদন্ত করা হয়। বড়ঞার বিএলএলআরও সৌভিক সাহা বলেন, বালি খাদানের ওই জায়গা আমরা পরিদর্শন করে মহকুমা শাসকের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। মহকুমা সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, যেভাবে বাঁধ কাটা হয়েছে, তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। এনিয়ে নানা জায়গায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই বালিখাদানের লিজহোল্ডারকে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তাড়াতাড়ি মেরামত করে দিতে নির্দেশ দিয়েছি। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)