• রাস্তা খোঁড়ার অনুমতি না মেলায় পাইপলাইন বসানোর কাজ থমকে
    বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: দুই দপ্তরের টানাপোড়েনে বন্ধ রয়েছে পানীয় জলের পাইপলাইন বসানোর কাজ। এমনই পরিস্থিতি নবদ্বীপের চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েতে। পিএইচইর অভিযোগ, পাইপ বসাতে রাস্তা খোঁড়ার জন্য দু’মাস আগে আবেদন করলেও অনুমতি দেয়নি পূর্তদপ্তর। ওই দপ্তরের আবার পাল্টা বক্তব্য, পিএইচই রাস্তা খোঁড়ার জন্য ক্ষতিপূরণ দিলেই অনুমতি দেওয়া হবে। ফলে সাতমাস আগে কাজ শুরু হলেও ওই পঞ্চায়েতে এখনও বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত জল সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। 


    ওই পঞ্চায়েতে পাইপলাইন বসানোর বেশিরভাগ কাজ শেষ। বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়ার ৯০শতাংশ কাজও হয়ে গিয়েছে। জলজীবন মিশন প্রকল্পে ট্যাঙ্ক তৈরির পাইলিংয়ের কাজ এখন চলছে। কিন্তু পূর্তদপ্তরের যে রাস্তা ওই এলাকা দিয়ে গিয়েছে, সেটি খুঁড়ে পাইপলাইনের কাজ করার অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি। কবে ওই কাজ হবে-তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।


    প্রায় সাতমাস আগে ওই পঞ্চায়েতে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে কাজ শুরু হয়েছিল। চরমাজদিয়া গভর্নমেন্ট কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় প্রায় চার কোটি টাকায় এই প্রকল্প হচ্ছে। পিএইচই দপ্তর এখানকার চরমাজদিয়া, চরব্রহ্মনগর ও মাজদিয়া-এই তিনটি মৌজায় চারহাজার বাড়িতে জলের সংযোগ দিতে তাড়াতাড়ি কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পূর্তদপ্তরের রাস্তা দিয়ে পাইপলাইন নিয়ে যেতে গিয়েই গোল বাঁধে। ওই রাস্তা খোঁড়ার জন্য দু’মাস আগে পিএইচই অনুমতি চেয়ে পূর্তদপ্তরের কাছে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু এখনও সেই অনুমতি আসেনি।


    পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপন দেবনাথ বলেন, চরমাজদিয়া মৌজার চরব্রহ্মনগর বউবাজার অলিম্পিক ক্লাবের সামনে থেকে স্বরূপগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড চৌমাথা পর্যন্ত রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসাতে হবে। তবেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। এনিয়ে আমরাও পূর্তদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।


    চরমাজদিয়া কলোনির তাবুপাড়ার বাসিন্দা ইতি দেবনাথ বলেন, এই এলাকার মানুষের বড় সমস্যা পানীয় জলের সঙ্কট। দূর থেকে জল আনতে হয়। এখন এলাকার বেশিরভাগ মানুষ জল কিনে খান। অথচ তাঁদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।


    পিএইচই’র এক আধিকারিক জানান, চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগরে যে প্রধান রাস্তাটি রয়েছে, তার দু’দিকে কোনও খালি জায়গা নেই। সড়কের দু’ধারে বাড়ি, বাজার, নিকাশিনালা রয়েছে। সেজন্য রাস্তা খুঁড়েই কাজ করতে হবে। স্বরূপগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড চৌমাথা থেকে চরব্রহ্মনগর অলিম্পিক ক্লাব পর্যন্ত রাস্তা খোঁড়ার অনুমতি মিললেই পাইপলাইন জুড়ে জল সরবরাহ চালু করা সম্ভব হবে।


    পূর্তদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসালে রাস্তার তো ক্ষতি হবে। সেই ক্ষতিপূরণের টাকা ওদের দিতে হবে। আমরা পিএইচই’র কাছে টাকা চেয়ে পাঠিয়েছি। ইতিমধ্যেই একটা খরচের হিসেব ওদের দেওয়া হয়েছে। ওরা টাকা বরাদ্দ করলে তবেই রাস্তা খোঁড়ার অনুমতি দেওয়া যাবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)